নিজস্ব প্রতিবেদন : বাসন্তীতে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিলেন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। একইসঙ্গে যাঁরা এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে দল যাতে কড়া ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবিও জানালেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন প্রতিমা মণ্ডল বলেন, "একই ঘরের মধ্যে থাকব, তার মধ্যে মারামারি করব, তাতে অন্যের প্রাণ যাবে, এটা খুবই দুঃখের।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাসন্তীতে মতানৈক্য তৈরি হয়। যার ফলে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে স্বীকার করে নেন সাংসদ। তবে যাঁরা অশান্তি তৈরি করছে, হিংসা ছড়াচ্ছে, দল কোনওভাবেই তাঁদের প্রশ্রয় দেবে না বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে দল যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবিও জানান প্রতিমা মণ্ডল।


প্রতিমা আরও জানান, ফোনে শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি সবকথাই জানিয়েছেন। এই বিষয়ে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে আশ্বাস দিয়েছে। প্রতিমা মণ্ডলের অভিযোগ, কিছু মানুষের বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মের জন্য উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটছে। এলাকার মানুষকে তাঁরা বিপথগামী করে তুলছে।  


উল্লেখ্য, এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত থাকে বাসন্তী। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী হাসান লস্কর ও স্কুলপড়ুয়া রিয়াজুল মোল্লার। প্রসঙ্গত একমাস আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিল অস্ত্র কারবারে অভিযুক্ত হাসান। অন্যদিকে জানা গেছে, রাজনৈতিক দাদাদের ফরমাশ খাটতে গিয়েই গতকাল বেঘোরে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্র রিয়াজুলের।


আরও পড়ুন, 'গুলি চালিয়েছে পুলিসই', ক্ষোভে ফুঁসছে বাসন্তী


বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফেরার পথে গণ্ডগোলের মঝে পড়ে যায় ক্লাস ফোরের ছোট্টো রিয়াজুল। কোনওক্রমে গ্রামে ঢোকার পর পড়ে থাকা বন্দুক কুড়োনোর নির্দেশ দেন নেতারা। বরাতজোরে বন্দুক নিয়ে অক্ষতই ফেরে রিয়াজুল। কিন্তু তারপর পড়ে থাকা গুলি নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই ফরমান মানতে গিয়েই ছিটকে আসা গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় রিয়াজুলের বুক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রিয়াজুলের। এলাকা থেকে প্রায় পাঁচশো রাউন্ড গুলির খোল ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিস।