TMC: `তৃণমূলে ফিরতে হলে প্রায়শ্চিত্ত করেই ফিরতে হবে`
দণ্ডিকাণ্ডে যখন সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রীকে, তখন ভিন্ন সুর দলের সাংসদে গলায়!
বিধান সরকার: দণ্ডিকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরে যখন সরিয়ে দেওয়া হল দলের মহিলা সভানেত্রীকে, তখন হুগলিতে তৃণমূল সাংসদে গলায়! আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের দাবি, 'দলের গাইড লাইনেই আছে, তৃণমূলে ফিরতে হলে প্রায়শ্চিত্ত করেই ফিরতে হবে'।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। সেদিন রাতে বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে ১ কিমি পথ দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসেন ৩ আদিবাসী। এরপর তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শাসকদলের মহিলা জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। কেন এভাবে যোগদান? অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন ওই ৩ মহিলা। সেকারণেই নাকি প্রায়শ্চিত্ত করে ফের পুরনো দলে ফিরলেন তাঁরা।
এদিকে ৩ মহিলার দণ্ডি কাটার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। যাঁরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন বিরোধীরা। এরপর তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরে মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় সভানেত্রী হন স্নেহলতা হেমব্রম।
আরও পড়ুন: Ajit Maity: 'অজিত মাইতি রেজিস্টার্ড ডাকাত... বার বার শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন!'
তাহলে? এদিন হুগলির আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, 'একুশের বিধানসভা ভোটে খানাকুলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ফিরেছিলেন বিপ্লব দাস। স্বেচ্ছায় মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন তিনি'। কেন? সাংসদের দাবি, 'দলের গাইড লাইনেই আছে, তৃণমূলে ফিরতে হলে প্রায়শ্চিত্ত করেই ফিরতে হবে'।