নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য তো বটেই বুধবার দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাতাশ বছরে সেই স্মৃতি রাজ্যবাসীর মন থেকে অনেকটাই ফিকে হয়েছে। কিন্তু তা এখনও দগদগে বরাহনগরের রায় ও কাকিনাড়ার বৈরাগী পরিবারে। কারণ ভয়ঙ্কর ওই দিনে যে ১৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল পুলিসের বুলেট তার মধ্যে ছিলেন বরাহনগরের বিহারী লাল স্ট্রিটের বিশ্বনাথ রায় ও কাঁকিনাড়ার পদ্মপুকুর রোডের কেশব বৈরাগী।


আরও পড়ুন-তোলাবাজির প্রতিবাদের জের; ব্লক তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর, চলল গুলি


ওই দিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও আগলে রেখে বেঁচে রয়েছেন মিতালী রায় ও রীনা বৈরাগী। আশ্চর্যজনকভাবে দুজনই ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই বাড়ি থেকে বলে বেরিয়েছিলেন, কাজ রয়েছে। একটু বেরোচ্ছি। ফিরে এসে একসঙ্গে খাব। তখন দুই বাড়ির কেউই জানতো না তাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে পুলিসের বুলেট।


মিতালি রায়ের ছেলে সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ওইদিন বাবা আমাকে স্কুলে দিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন বিকেলে টিউশনে নিয়ে যাবেন। সেদিন রাতে বাবা বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সন্ধের দিকে বাবার লাশ এল।


আরও পড়ুন- পড়া বুঝতে বাড়িতে ছাত্রী, বর্ধমানে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে  


প্রতি বছর ২১ জুলাই এলেই মিতালী রায় ও রীনা বৈরাগী যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। গত ২ বছর করোনার কারণে যাওয়া হচ্ছে না। তবে প্রতি বছরই লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানালেন মিতালী ও রীনা।


১৯৯৩ সালের সেই অভিশপ্ত দিনটি ছিল বুধবার। এবারও বুধবারই পড়েছে ২১ জুলাই। গত সাতাশ বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে স্বামীর তাজা স্মৃতি নিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন মিতালী-রীনা।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)