নিজস্ব প্রতিবেদন- ‘বাড়াবাড়ি করলে এলাকায় এলাকায় শীতলকুচি হবে’। রবিবার বরানগরের সভা থেকে শীতলকুচি (Sitalkuchi) নিয়ে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির পাশাপাশি নির্বাচনের পরবর্তী দফাগুলির জন্য তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদনও চিঠিতে করেছে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাজ্যের চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ঠিক তার পরদিনই বরানগরের সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেন,  ‘বাড়াবাড়ি করলে শীতলকুচি দেখেছে কী হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ এই মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। উত্তর দমদমে রবিবারের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মোদী- শাহের কাছে দিলীপকে দল থেকে বহিষ্কার করবার জন্য আবেদন করেন। দিলীপের এই বক্তব্য সাধারণ ভোটারদের মনে ভয় তৈরি করবে, এমন অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কমিশনকে (Election Commission) দেওয়া চিঠিতেও তা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, তিনি শীতলকুচির হিংসার ঘটনা সমর্থন করেন। পরবর্তী কয়েকধাপের নির্বাচনে এমন হিংসার ঘটনা আবারও ঘটবে,  সেই ইঙ্গিতও তাঁর বক্তব্যে রয়েছে। পাশাপাশি, সিএপিএফ(CAPF) যদি ভোটদান প্রক্রিয়ায় আইনবিরুদ্ধ কাজ করে, তাহলে প্রতিবাদও করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। আইনের শাসন যে মাটিতে আছে, সেখানে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না’।


আরও পড়ুন - West Bengal Election 2021: নন্দীগ্রামে ক্লিন বোল্ড Mamata, প্রথম চার দফায় সেঞ্চুরি BJP-র: Modi


বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই শুধু নয়, নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ঘাড়েও দায় চাপিয়েছে তৃণমূল। শনিবার শীতলকুচির ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরাসরি অমিত শাহকেই দায়ী করেছিলেন। তারই প্রতিধ্বনি রয়েছে তৃণমূলের (TMC) পাঠানো চিঠিতে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘যিনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি-র একজন স্টার ক্যাম্পেনার, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্ধনও রয়েছে এই ঘটনায়। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিপন্থী। এই মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক করবে। তা ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে’। সেই কারণেই দিলীপের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।