নিজস্ব প্রতিবেদন : জেলা নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি নীরঞ্জন দাস। এরপরই সন্ধ্যায় সহ সভাপতি নীরঞ্জন দাসকে দল থেকে বরখাস্ত করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। একইসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে ফালাকাটা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসকেও। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছেন, দলবিরোধী কাজের জন্যই বরখাস্ত করা হয়েছে ২ নেতাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত আজ ঘটনার সূত্রপাত একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে। আজ আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক ছিল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি হিসেবে নীরঞ্জন দাসের এটাই প্রথম বৈঠক ছিল। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, সেই বৈঠকে তাঁকে ঠিকমত নিজের বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি। বক্তব্য রাখতে না দেওয়ার অভিযোগে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান নীরঞ্জন দাস ৷ 


তাঁর অভিযোগ, আজকের বৈঠকে জেলার বহু নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সেই নেতাদের উপস্থিত না থাকার কারণ তিনি জেলা নেতৃত্বের কাছে জানতে চান। আর তাতে জেলার নেতারা তাঁকে অপমান করেন। সূত্রের খবর, এরপরই বৈঠকের মধ্যে নীরঞ্জন দাসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় জেলা নেতৃত্বের। তারপরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি ৷ বাইরে এসেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নীরঞ্জন বাবু ৷ একইসঙ্গে দল ছাড়ার ইঙ্গিতও দেন।


যদিও, এপ্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী দাবি করেছেন, এমন কোনও ঘটনা বৈঠকের মধ্যে ঘটেনি ৷ নীরঞ্জন দাসের অভিযোগ মিথ্যে। অনেকটা সময় ধরেই তিনি বৈঠকে বলেছেন ৷ তাঁকে কেউ অপমানও করেননি।


আরও পড়ুন, 'BJP-তে গেলে ভোট বাড়বে... তৃণমূলে কোনও বিকল্প নেই,' শুভেন্দু প্রশ্নে দ্বিবিভক্ত নন্দীগ্রাম