নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় বঙ্গ বিজেপিকে ২২টি আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁকে পাল্টা ৪২-এ ৪২ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের তরুণ তুর্কি শুভেন্দু অধিকারী। পুরুলিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বৃহস্পতিবার যে মাঠে সভা করে গিয়েছেন, সেখানেই রবিবার সভা করল তৃণমূল। আর সেই সভাতেই তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর হুঙ্কার, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, ৪২-এ ৪২ তাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদীর সেনাপতির জবাব দিতে এদিন শিমুলিয়ার মাঠকে বেছে নিয়েছিলেন মমতার সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। দু'দিনের নোটিসেই পাল্টা সভায় অমিতের সভার চেয়েও বেশি ভিড় হয়েছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পুরুলিয়া তো বটেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে জঙ্গলমহল। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এসেছিল অমিত শাহের সভায়। বাইরে থেকে লোক না এনে বেশি ভিড় হয়েছে তৃণমূলের সভায়।


২ টাকা কেজি দরে চাল, বিদ্যুত্, পানীয় জল এরাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন অমিত শাহ। রবিবার তৃণমূল সরকারের প্রকল্পগুলি উল্লেখ করে বিজেপিকে জবাব দিলেন শুভেন্দু। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর ইঙ্গিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চায় তৃণমূল। শুভেন্দু বলেন, ''২০১৯ সালে দিল্লিতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, ৪২-এ ৪২ তাই। আমি অমিতজিকে বলতে চাই, আগে দিল্লি সামলান, তারপর বাংলা।'' শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জেই স্পষ্ট, ২০১৯ সালে সবকটি লোকসভা জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাবে তৃণমূল কংগ্রেস। 


এদিনের সভায় তৃণমূলের আর এক নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন,''গুজরাটের এনকাউন্টারিস্ট এখানে এসে বড় বড় কথা বলছে। ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীদের টাকা দিয়ে এখানে ভোট করানো হয়েছে। ২০১৯ সালেই সব ফিনিশ হয়ে যাবে।'' 


আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের ফল বেরানোর দেড় মাস বাদে ঘুম ভাঙল বিজেপির?