নিজস্ব প্রতিবেদন:  উপস্থিত ছিলেন না খোদ চেয়ারম্যান। তাঁকে বাদ দিয়েই গঙ্গারামপুর পৌরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট করে জয়ী হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। ১১-০তে পরাজিত হলেন প্রশান্ত মিত্র। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল তাঁদের মধ্যে ১০জন কাউন্সিলর রয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বিজেপিতে যোগ দেওয়া অশোক বর্ধনও এদিন তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন বলে সূত্রের খবর। হাইকোর্টের অন্য একটি মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং সোমবারই গঙ্গারামপুর পৌরসভার আস্থা ভোট করাতে হবে।


সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ পৌরসভায় গিয়ে উপস্থিত হন কাউন্সিলাররা।  সকাল থেকে কার্যত পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গঙ্গারামপুর শহরকে। 


বেলা ১১:৩০ নাগাদ অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটভুটি প্রক্রিয়া শুরু হয়। কাগজের কাজ শেষ করে কাউন্সিলাররা ঘোষণা করেন তাঁদের জয় হয়েছে। পরে জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে মিছিল করেন।


প্রশান্ত মিত্র জানান, আদালতের রায় মেনে নেবেন তিনি এবং আজ তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও বৈঠক করে নেন বিরোধীরা। এর বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হবেন তাঁরা।


গঙ্গারামপুরের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আজই, চেয়ারম্যানের আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট


প্রসঙ্গত, সোমবার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পৌরসভার অনাস্থা সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন গঙ্গারামপুরের পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র। সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “অনাস্থা ইস্যুতে বৈঠক যখন আজই হওয়ার কথা ছিল, আজই করতে হবে। গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা মৌলিক অধিকার। সেটা মানতেই হবে।” অর্থাত্ হাইকোর্টে চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।


এদিন হাইকোর্টে থাকার কারণেই আস্থা ভোটে অনুপস্থিত থাকবেন বলে আগে থেকে প্রশান্ত মিত্রের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছিল। তাঁকে বাদ দিয়েই এদিন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়ে যায়।