নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের শেষ দিনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে  উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম গৌতম দে। তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গৌতম দে-র অভিযোগ, এদিন বেচারহাটের ওলাইচণ্ডীতলায় যাত্রী নামিয়ে টোটো নিয়ে ফেরার সময় তাঁকে বিজেপি কর্মীরা মারধর করেন। তাঁকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর টোটোতেও ভাঙচুর করেন বিজেপি কর্মীরা। উইকেট, হকির স্টিক দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ও পা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনায় শহরের নীলপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। 


এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এই হামলা চালায়। তাঁরা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায়। তিনি বলেন, এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পাল্টা তোপ দাগেন তিনি। দাবি করেন, বিজেপি মারপিটের রাজনীতি করে না।


শ্যামল রায় আরও বলেন, এদিন বিজেপির ৩ জন কর্মী বর্ধমান আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। তাঁদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে দলের কর্মীরা ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। ওদিকে তৃণমূল এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। এই দাবি খারিজ করে রাসবিহারী হালদার পাল্টা দাবি করেন, প্রতিদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। তাই ভয় খেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই বর্ধমান শহরের নীলপুরে তৃণমূল ও বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিস ৩ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। শাসক, বিরোধী দু-পক্ষই পুলিসের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করে।


আরও পড়ুন, বিধায়কের ফোনে কেঁদে ভাসালেন! BJP যোগদান মঞ্চ থেকেই ফিরে এলেন TMC কাউন্সিলর