নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে অব্যাহত হিংসা। এবার তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রামে। মৃতের নাম পবিত্র সড়ঙ্গী। ভাইকে খুনের পিছনে বিজেপি ও সিপিএম-এর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন পবিত্র সড়ঙ্গীর দাদা প্রসূন সড়ঙ্গী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম রায়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে হিংসা। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। এরপর গতকাল সোমবার মালদার মানিকচকে ২ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে পুরুলিয়ার জয়পুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ বিজেপি কর্মীর। এবার ঝাড়গ্রামে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। ঝাড়গ্রামের দরখুলি থেকে টেঙ্গিয়া যাওয়ার রাস্তার ধারে ধানজমি থেকে উদ্ধার হয় পবিত্র সড়ঙ্গীর রক্তাক্ত দেহ।


আরও পড়ুন, দল ভাঙিয়েও কাজ হল না, সিপিএম, বিজেপির সমর্থনে বিন্নাগুড়িতে বোর্ড গড়ল কংগ্রেস


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে পবিত্র সড়ঙ্গীকে। মৃতের দাদা প্রসূন সড়ঙ্গী ঝাড়গ্রাম তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০২ সালে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় প্রসূন সড়ঙ্গীর বাবা ও মা। সেই ঘটনায় সিপিওম-এর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলেছিল সড়ঙ্গী পরিবার। এরপরই দুবরার বাড়ি ছেড়ে সদর ঝাড়গ্রামে চলে আসে সড়ঙ্গী পরিবার। এবার ঝাড়গ্রামে খুন হলেন প্রসূন সড়ঙ্গীর ভাই তৃণমূল কর্মী পবিত্র সড়ঙ্গী।


আরও পড়ুন, পুরুলিয়ায় বোর্ড গঠনে চলল গুলি, নিহত ২


অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে হিংসা অব্যাহত বীরভূমেও। বীরভূমের নানুরের ভেপুরি গ্রামে এক তৃনমূল কর্মীর উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। হামলার জেরে গুরুতর জখম হয়েছেন রজক খান নামে ওই তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন তিনি। এই হামলার ঘটনাতেও সিপিএম-এর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। সিপিএমের পাল্টা দাবি, শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা।


আরও পড়ুন, মানিকচকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত বেড়ে ২ , আহত শিশু


পাশাপাশি, বোর্ড গঠনের পর সার্টিফিকেট নিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি বাঁধল নদিয়ার করিমপুরে। করিমপুর হোগলবেরিয়া বিডি অফিসের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশকেও মারধর করেন বিজেপি সমর্থকরা। নির্দল ও বামেদের সমর্থন নিয়ে হোগলবেরিয়া থানার রাজাপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি।