নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন! তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা সহ সভাপতি সহ কয়েকশো আদিবাসী এদিন যোগদান করলেন বিজেপিতে। পূর্ব বর্ধমানের মানকড় এলাকায় এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে একটি জনসভা আয়োজন করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা তপশিলি উপজাতি মোর্চার উদ্য়োগে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের সংসদ সুনীল কুমার মন্ডল, উত্তর মালদার সংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি নেত্রী মাফুজা খাতুন। সেখানেই সাংসদ সুনীল মন্ডলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন কয়েকশো আদিবাসী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বিজেপিতে আদিবাসীদের যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ খগেন মুর্মু ও মাফুজা খাতুন কটাক্ষ করেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে মানুষ আর তাঁর সাথে নেই। আর সেইজন্যই নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলছেন। আবার বলছেন ভবানীপুরের মানুষকেও তিনি বঞ্চিত করবেন না। আসলে রাজ্যবাসীর সাথেই প্রতারণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।" এদিনের অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমানের সহ সভাপতি সঞ্জীব সাউ,  বুদবুদ প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান কাশীনাথ চ্যাটার্জি সহ কয়েকশো এলাকার আদিবাসী।


আরও পড়ুন, নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে না হারালে রাজনীতি ছাড়ব, Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Suvendu-র


প্রসঙ্গত, এদিন তেখালির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে আসন্ন ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে তিনি-ই প্রার্থী হবেন। বলেন, ""নন্দীগ্রাম আমার জন্য লাকি জায়গা। আজ নন্দীগ্রাম থেকেই আমি একুশের নির্বাচনের ঘোষণা করছি। ২০২১-এ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জিতবে। নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকেই শুরু হল জেতার পালা। প্রতি সিটেই তৃণমূল জয়লাভ করবে।" এরপরই সরাসরি তিনি-ই নিজে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, "আচ্ছা, আমি-ই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়? সুব্রত বক্সীকে বলব, নন্দীগ্রামে আমার নামটা চূড়ান্ত করে দিতে। ভবানীপুরের মানুষকেও আমি কষ্ট দেব না। ম্যানেজ করতে পারলে নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর, দুই জায়গা থেকেই আমি দাঁড়াব।"


আরও পড়ুন, ভবানীপুরে পাল্টা চমক দেবে BJP: Samik, এটা Mamata-র হার স্বীকার : Sujan