নিজস্ব প্রতিবেদন: তালিকায় নাম ছিল না, তার পরেও কীভাবে রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী, প্রশ্ন তুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মু্খ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীনেশ ত্রিবেদী যে আবহে তাঁর ইস্তফা ঘোষণা করেছেন, সেটি নিছকই ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুখেন্দুশেখর রায় চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘বাজেটের উপর আলোচনার জন্য তৃণমূলের দু’জনের নাম নির্ধারিত ছিল। তাঁদের বলার পর দলের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। তারপরেও দীনেশ কী করে বক্তব্যের অনুমতি পেলেন?’


বাজে অধিবেশনে বক্তৃতার সময় অতিরিক্ত সময় চেয়ে ইস্তফা দেওয়া এবং তৃণমূলের সম্পর্কে বদনাম করা আইন বিরোধী বলে জানিয়েছেন সুখেন্দুশেখর। পাশাপাশি তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন সেখানে তাঁরা দাঁড়নোর কথা ছিল না।  গ্যালারি থেকে কাউন্সিল চেম্বারে নেমে কীভাবে বক্তব্য রাখলেন এলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।  


রাজ্যসভার ইতিহাসে এই ঘটনা ‘অভূতপূর্ব’। নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দল ও পদ, একইসঙ্গে দুই-ই ছেড়ছেন দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi)। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দেন তৃণমূল সাংসদ।  দীনেশ ত্রিবেদি এদিন বলেছেন, ''দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। আমার অন্তরাত্মার কথা শুনেছি। আর চুপ করে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না আমার পক্ষে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। এদিন তিনি আরও বলেছেন, ''চারিদিকে রাজনৈতিক হিংসা মারাত্মকভাবে হচ্ছে। গণতন্ত্রে আঘাত হচ্ছে। মোদীজিও বারবার বলেছেন একই কথা। আমি কী করব বুঝতে পারছি না। কিছু তো করতেই পারছি না। চুপচাপ দেখা ছাড়া কোনও উপায় নেই আমার। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির মাটি আমার জন্মভূমি। এখানে থেকে কিছু বলতে বা করতে না পারলে সরে যাওয়া ভাল। তার থেকে বাংলার ফিরে মানুষের পাশে থাকব।''