নিজস্ব প্রতিবেদন: "শান্তিনিকেতনের জমি দখল করতে বেড়া ভেঙেছে তৃণমূল। রাজ্যপালের কাছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি"। শনিবার বিশ্বভারতীকাণ্ডে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে সরব হলেন বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি ঘটনায় অভিযুক্ত বিধায়ক ও অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন তিনি আরও বলেন, জেলাশাসক, শিক্ষামন্ত্রী এবং উপাচার্যকে নিয়ে আগেই বৈঠক করা উচিৎ ছিল। তাহলে এত জল ঘোলা হত না।" আশ্রমের তরফ থেকে এই বিষয়ে ডেপুটেশন জমা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।


আরও পড়ুন:  উদ্ধারে এগিয়ে এল না কেউ, বৃষ্টিতে ভিজে প্রায় ১০ ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে রইলেন অসুস্থ মহিলা


বিশ্বভারতীকাণ্ডে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিশ্বভারতীয় পাঁচিল ভাঙচুর নিয়ে ১৭ অগাস্ট দুপুর থেকেই সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সন্ধেয় সরাসরি ওই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক মদত থাকার অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি একের পর এক টুইট করে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির সাফ অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল। আর আবারও সেই সুরেই সুর মেলালেন বিজেপির আরও এক নেতৃত্ব। 


পৌষ মেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে ১৭ অগাস্ট রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্বভারতী। কয়েক হাজার লোক এসে পৌষ মেলার মাঠের পাঁচিল ভেঙে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। তারপরই এনিয়ে টুইটারে সরব হন রাজ্যপাল। ফোনও করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। 


বিশ্বভারতীয় ঘটনার পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিশ্বভারতী একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি চাই না এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে এমন কোনও কাঠামো তৈরি হোক। বিশ্বভারতীর ভিসিকে বলব, উনি যেন জেলার ডিএম ও এসপির সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন। এমনকিছু হওয়া উচিত নয় যা বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নষ্ট করে দেয়।'


এদিকে বিশ্বভারতী কাণ্ডের জেরে শাস্তির মুখে ৫ পুলিসকর্মী। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। পুলিস সূত্রে দাবি থানাকে না জানিয়েই ওই ৫ জনকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে। যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুলিসকর্মীরাও তা সঠিকভাবে পালন করেননি। উপাচার্যের ব্যক্তিগত নিরপত্তারক্ষীও বদলে দেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর ভাঙচুরের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। কীভাবে বহিরাগতরা বিশ্ব ভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করল, ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক হাইকোর্টের নজরদারিতে গঠন করা হোক বিশেষ কমিটি এমনটাই দাবি করেছেন মামলাকারী আইজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।