নিজস্ব প্রতিবেদন : বজবজ পৌরসভার  ২০  নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন ঠিকাদারের  উপর গুলি চালনার  ঘটনায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত কামাল খান ও  মহম্মদ কায়েসকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার জিঞ্জিরাবাজার এলাকা থেকে গাঁজা সমেত ওই ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃত দুজনের একদিনের জেল হেফাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশের 'কার্পেট' কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! নিহত মালদার ৯ শ্রমিক


সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, দলীয় অফিসেই গুলিবিদ্ধ হন মিঠুন ঠিকাদার। সন্ধেয় দলীয় অফিসে বসেছিলেন মিঠুন টিকাদার। তখনই অফিসে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই আততায়ী। রক্তাক্ত শরীরে অফিসঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলে। গুলি লাগে তাঁর বুকে ও পেটে। সঙ্গে সঙ্গেই গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে নিকটস্থ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন  তৃণমূল কর্মীরা। পরে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।


আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রী কথা শুনে হাসছে সবাই!' কটাক্ষ দিলীপের


গুলি চলার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে কামাল খান ও মহম্মদ কায়েস নামে দুজনের বিরুদ্ধে। তৃণমূল দাবি করে, দুই অভিযুক্তই বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধী। যদিও  বিজেপি পাল্টা দাবি করে, ওই এলাকায় সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের আশ্রয়ে থাকে।  কামাল খান ও  মহম্মদ কায়েস দুজনই তৃণমূল আশ্রিত  দুষ্কৃতী।   


আরও পড়ুন, 'ছেলেধরা' সন্দেহে খাস কলকাতায় যুবককে গণপিটুনি


প্রসঙ্গত, গুলিকাণ্ডে বিজেপি জড়িত থাকার তত্ত্ব খারিজ করে দেন আক্রান্ত কাউন্সিলর নিজেই। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার বলেন, অন্য কেউ নয়, গুলি চালিয়েছে তৃণমূলেরই আরেক নেতা শ্রীমন্ত বৈদ্য। বজবজ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমন্তবাবু।