নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় একদা একটি নাটক খুব জনপ্রিয় হয়েছিল-- 'মরেও শান্তি নেই'! খুব সম্ভবত দুর্গাপুরের বাবলু মালের ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে! তাঁরও তো এক রকম 'মরেও শান্তি নেই'। কেননা তাঁর মৃতদেহ নিয়ে টানাটানি করছেন দুই স্ত্রী, আর মর্গ থেকে দেহ বের করে দিয়েও তা ফের মর্গেই ঢুকিয়ে দিতে হচ্ছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর অহর্নিশ দ্বন্দ্ব, টানাপড়েন, রোষ-হিংসা নিয়ে গল্পে-উপন্যাসে, সিনেমায় নানা মুহূর্ত অবশ্যই তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ সময়েই তা মজার আবহই তৈরি করেছে। কিন্তু স্বামী মারা গেলে তাঁর মৃতদেহের অধিকার নিয়েও দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্ব-টানাপড়েনের ঘটনা খুব চোখে পড়ে কি?


আরও পড়ুন: Keshpur: পরিকল্পনমাফিক খুন? থানা লাগোয়া ব্যারাকে মিলল পুলিস আধিকারিকের ঝুলন্ত দেহ


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 'সম্পত্তির লোভে'ই মৃতদেহ নিয়ে এই টানাটানি দুই স্ত্রীর। পূর্ব বর্ধমান জেলার রামনগরের ঘটনা। শুক্রবার রাত্রে দুর্গাপুরে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় রামনগরের বাসিন্দা বছর ৪৮-এর বাবলু মালের। দু'টি বিয়ে বাবলু মালের। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকেন দুর্গাপুরের বিধাননগরের আম্মা কলোনিতে বাবলুর বাড়িতেই। আর বাবলুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী থাকেন দুর্গাপুরের এমএমসি'র শ্রীপল্লীতে।


জানা গিয়েছে, পথদুর্ঘটনার পরে বাবলুকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং তাঁর পরিবার। শুক্রবার রাত্রেই মৃত্যু হয় বাবলুর। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকেই দেহ দেয়। আর তার পরেই বাধে ঝামেলা।


ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও বাবলুর দেহ রয়ে যায় মর্গের ভেতরেই। কারণ, ততক্ষণে বাবলুর প্রথম পক্ষ বাবলুর দেহ তাঁদেরই হাতে দিতে হবে, এই দাবি জানিয়েছেন। এদিকে দ্বিতীয় পক্ষও মৃতদেহ তাঁদেরই দিতে হবে এই মর্মে জেদ ধরেছেন। দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা।


শনিবার দুপুর থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। সমস্যা সমাধানের জন্য দুর্গাপুর বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিস যায়। কিন্তু দুই স্ত্রীর টানাপড়েনের মাঝে পড়ে পুলিসও হতভম্ব হয়ে পড়ে। কেননা, ফয়সালা করতে গিয়ে পুলিস দেখে, প্রথম পক্ষ বলছেন তাঁরা দ্বিতীয় পক্ষকে চেনেন না আবার দ্বিতীয় পক্ষ বলছেন তাঁরা প্রথম পক্ষকে চেনেন না! যদিও বাবলুর মায়ের দাবি, প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছেই থাকতেন বাবলু। তবে সমস্যার সমাধানের খোঁজে আলোচনার জন্য পুলিস দু'পক্ষকেই থানায় ডেকে পাঠায়। এই বিতণ্ডার জেরে শনিবার অবশ্য সৎকার হল না বাবলুর দেহ।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Shackled Youngman: টানা ১০ বছর শিকলে-বাঁধা মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে, ভিক্ষে করেন অসহায় মা!