নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের হাত থেকে সুন্দরবনসহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাকে বাঁচিয়েছে ম্যানগ্রোভ অরন্য, এমনটাই জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। গহন অরণ্য ভেদ করে লোকালয়ে আসার সময়ে অনেকটাই শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাজ্যে ঢোকার সময়ে সুন্দরবনে বাধা পায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। প্রথমে সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে। এরপর সেটি বাংলাদেশের খুলনা অংশে ঢোকে। সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে দুর্বল বুলবুলের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যায়। কমে আসে জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতাও।



আয়লার সময়ে জোয়ার থাকায় জলের তোরে ভেসেছিল গোটা বদ্বীপ। সেবার ম্যানগ্রোভের ব্যারিকেট বাঁচাতে পারেনি জল জঙ্গলের ভূখণ্ড। যদিও এবার ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কারণেই রক্ষা পেল বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুধু তাই নয়, দুই ২৪ পরগনাসহ কলকাতাতেও বুলবুলের খুব বেশি প্রভাব পড়তে দেয়নি এই ম্যানগ্রোভই। ভাঁটা, এবড়োখেবড়ো মাটি এবং ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ধাক্কা খেতে খেতে ঢোকার সময়েই শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, ফলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে কলকাতাসহ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি।


আরও পড়ুন: সরে গিয়েছে বুলবুল, রবিবার বিকেলের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি


আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আয়লা যেই গতিপথে এসেছিল তার ঠিক উল্টো পথ দিয়ে এসেছে বুলবুল। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন এই বিপর্যয়ের ফল আরও ভয়ঙ্কর হতে পারত। তবে তা না হওয়া নেপথ্যের অন্যতম অবদান রয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের। সুন্দরবনের যেই বেল্টে ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে অর্থাৎ মূলত পূর্বের জায়গাটি বাঁচিয়ে দিয়েছে ম্যানগ্রোভ। ফলে যেই দ্বীপগুলোর আরও ক্ষতি হতে পারত, এই অরণ্যের কারণে তা অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে