নিজস্ব প্রতিবেদন : গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়েছিল পুলিস। তাতেই পর্দাফাঁস হল মাটির তলায় গোপন অস্ত্র তৈরির কারখানার। মালদার কালিয়াচকে করারিচাঁদপুর পাটুয়াটুলি গ্রামে এই গোপন আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস পায় পুলিস। এই ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের মূল কারবারী এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাটির তলায় গোপনে চলছিল অস্ত্র তৈরির সুবিশাল কর্মকাণ্ড। কারখানার ভিতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিস। মাটির নীচে এইভাবে এত বড় মাপের কারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে জেলা পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তাদের। এইভাবে মাটির নীচে কারখানা তৈরি করে ওই দুষ্কৃতী যে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারবার চালাচ্ছে তা কল্পনাও করতে পারেননি পুলিসের দুঁদে অফিসাররা। তবে এই ঘটনার পিছনে ওই ব্যক্তি একা জড়িত নয়, এর পিছনে অনেক বড় মাপের মাথা কাজ করছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করছে জেলা পুলিসের পদস্থ আধিকারিকেরা।


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন শেখ, বয়স ৩৭ বছর। বাড়ি কালিয়াচক থানার অন্তর্গত করারিচাঁদপুর পাটুয়াটুলি গ্রামে। মাটির নীচে ওই গোপন কারখানা থেকে পিস্তল তৈরি আধুনিক একটি পাইপ উদ্ধার করেছে পুলিস। পাশাপাশি বন্দুক তৈরির ৯টি হ্যান্ডেল, ৮টি লোহার হ্যামলেট, ৬টি বিভিন্ন সাইজের স্প্রিন্টার, ২টি লোহা কাটার যন্ত্র, ৩টি দেশি ম্যাগজিন, ১৫টি লোহার ড্রিল মেশিন, ২টি পিস্তল তৈরির হ্যামার সহ আরও বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করেছে।


ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই গোপনে এইভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারবার চালাচ্ছিল সে। এই কাজে বিহারের মুঙ্গের থেকেও বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা কারিগর হিসাবে এসে কাজ করে গিয়েছে। লকডাউনের জন্য এখন ওই দুষ্কৃতী নিজেই এই গোপন কারখানায় অস্ত্র তৈরির কাজ চালাচ্ছিল। এর আগেও সে তার ওই গোপন ডেরা থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করে বাইরে সরবরাহ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিস। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, ৭ দিনের যুদ্ধে করোনাকে জয় ৪ বছরের খুদের, ফুলের মালায়-গোলাপে 'বরণ' করলেন চিকিৎসকরা


আরও পড়ুন, ফায়ার স্টেশনের মধ্যেই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু দমকল কর্মীর, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রীর