নিজস্ব প্রতিবেদন : "জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর।" উমার আগমনীতে চারদিকে যখন উৎসবের মেজাজ, তখন প্রতিমা পুজোর আগে এই আপ্তবাক্যকেই মূর্ত করে তুললেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গীতা থাপা। প্রমাণ করলেন মানুষ মানুষের জন্য। সাক্ষর তৈরি করলেন মনুষ্যত্বের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাত পোহালেই পঞ্চমী। চারদিকে আগমনীর সুর। গত বছর থেকে কোভিডে শারদোৎসবের তাল খানিক কাটলেও, ক্যালেন্ডারের তিথি মেনে এবছরও পুজো ঠিক-ই এসেছে। মানুষের মনে পুজো নিয়ে উন্মাদনারও শেষ নেই। এদিকে সবাই যখন উৎসবের আনন্দে মশগুল, ঠিক তখনই জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছিলেন এক মা। শরীরে রক্তের অভাব। রক্তের অভাবে জীবনের সঙ্গে যুঝে চলেছেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) টাকিমারির বাসিন্দা দিপু রায়ের স্ত্রী শিউলি রায়। অবিলম্বে 'A' পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন (Blood Donation)। এদিকে পরিবারের লোকেরা রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন।


আরও পড়ুন, #উৎসব : দামোদরের পাড়ে উমার আগমনী, নজর কাড়ছে বাংলার দু'ভাইয়ের জাদু কীর্তি


একদিকে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। কিন্তু রক্ত অমিল। কোথাও প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। উৎকণ্ঠার পারদ ক্রমশ চড়ছে। মাঝরাত অবধিও পরিবারের সদস্যরা রক্ত জোগাড় করতে না পেরে শেষমেশ জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'গ্রিন জলপাইগুড়ি'র দারস্থ হন। আর তারপরই ওই সংস্থার সদস্যা গীতা থাপা রাত ২টো নাগাদ জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর হাসপাতাল গিয়ে রক্তদান (Blood Donation) করেন। পুজো মরশুমে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে রাত ২টোর সময় সাক্ষাৎ দেবী দুর্গা রূপেই যেন এগিয়ে আসেন গীতা থাপা। নজির গড়লেন তিনি। আর ওদিকে 'A' পজেটিভ রক্ত পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রোগিণীর পরিবারের সদস্যরা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)