Uttarkashi Tunnel Collapse: অন্ধকূপে আর কতদিন? কবে উদ্ধার হবে ছেলে? সরকারের অবহেলার অভিযোগে সরব ক্ষুব্ধ মা!
আদৌ কি উদ্ধার হবে? নাকি রোজই সান্ত্বনাবাক্য শুনতে হবে? সেই অন্ধকূপের মধ্যে না খেয়ে আছে ছেলেগুলো! সরকারের কি কোনও পদক্ষেপ নেই?
দিব্যেন্দু সরকার: প্রায় ৮-৯ দিন পার হয়ে গেল। এখনও কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। সেই অন্ধকূপের মধ্যেই পড়ে রয়েছে বাড়ির ছেলে। নিমডিঙির জয়দেব পরামানিক আর হরিণাখালির সৌভিকের পরিবার। দুই পরিবারেরই এখন চোখের জলই সম্বল। দিন কাটছে অনিদ্রা,অনাহারে। দিন যত বাড়ছে, ততই তাঁদের ভরসা কমছে। হতাশা বাড়ছে। এলাকায় বাড়ছে ক্ষোভ। তাঁদের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষ বলেই কি এত অবহেলা? এরা যদি কোনও নেতা বা মন্ত্রীর ছেলে বা আত্মীয়স্বজন হত, তাহলে কি এত অবহেলা হত?
সৌভিকের বাড়িতে একদিন এসেছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এরপর থেকে এই দুজনের পরিবারে আর কেউই আসেননি। কেউই পাশে নেই বলে অভিযোগ। সূত্র মারফত খবর পেয়েছেন যে, তাঁরা ভিতরে আছেন। ভালো আছেন। কিন্তু সেটাও কতটা সত্যি-ই তা নিয়ে এবার প্রশ্ন জাগছে মনে। কবে উদ্ধার হবে তাদের বাড়ির ছেলেরা? দুশ্চিন্তায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শয্যাশায়ী। কথা-ই বলতে পারছেন না। অপরজনের নাওয়া খাওয়া, নিদ্রা বন্ধ। কাজকর্ম সবই বন্ধ। কেন এখনও উদ্ধার হচ্ছে না? আদৌ কি উদ্ধার হবে? নাকি রোজই সান্ত্বনাবাক্য শুনতে হবে? সেই অন্ধকূপের মধ্যে না খেয়ে আছে ছেলেগুলো! সরকারের কি কোনও পদক্ষেপ নেই? অবুঝ মায়ের মন! তাঁদের একটাই আবেদন, এবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছেলেদের উদ্ধার করে বাড়ির ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিন।
জয়দেব পরামানিকের বাবা-মা
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে সুড়ঙ্গে ধস নামার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১৭৫ ঘণ্টারও বেশি। এখনও সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারে আরও ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে বলে খবর। টানেলের উপর থেকে ড্রিল করে সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢুকে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শ্রমিকদের উদ্ধারে শুধুমাত্র একটিমাত্র পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে না থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা-ই নেওয়া হচ্ছে। হায়দরাবাদের এক কোম্পানির হয়ে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে গিয়ে উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে ধসে আটকে পড়েছেন তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও।
টিভিতে খবর মারফত জানতে পেরে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সদস্যদের। অভাবের সংসার, পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে উত্তরাখণ্ডে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন বলরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকাডোরা গেরগেন্দার পার এলাকার মানিক তালুকদার (৫০)। খবর শোনার পর থেকে স্বামীর ছবি বুকে নিয়ে কেঁদেই চলেছেন মানিকবাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদার। এই বিষয়ে মানিক তালুকদারের ছেলে অভিযোগ করেছেন, কম্পানির তরফে কোনও সেফটি পাইপ রাখা হয়নি। আগে থাকলেও, বর্তমানে সেটা খুলে ফেলা হয়েছে। সেফটি পাইপ না থাকাতেই এমনটা হয়েছে বলে জানান তিনি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)