বিশ্বভারতীতে প্রতিবাদের `মাশুল`, অধ্যাপকের পর এবার সাসপেন্ড ২ পড়ুয়া
প্রতিবাদ করলে রক্ষা নেই!
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিবাদ করলে রক্ষা নেই! অধ্যাপকের পর এবার দুই ছাত্রনেতা সাসপেন্ড করে দিল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই সাসপেনশনের নোটিসও পৌঁছে গিয়েছে। বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীর।
জানা গিয়েছে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাজকর্মে ক্ষোভ বাড়ছে বিশ্বভারতীর অন্দরে। নানা ইস্যুতে হাতিয়ার করে প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। আর এই প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন সোমনাথ সাউ ও ফাল্গুনি পান নামে দুই ছাত্র। সেই কারণে দু'জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। বস্তুত, উপাচার্যের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করছেন বা মুখ খুলছেন, তাঁদেরকে এভাবে দমিয়ে রাখা চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: BJP-তে যোগদান করায় হামলার অভিযোগ! মারধর ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকেও
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে খোদ পাঠভবনের অধ্যক্ষা বধিরূপা সিংহের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। বিষয়টি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, এমনকী উপাচার্যের নজরে এনেছিলেন তিনি। তদন্ত নয়, উল্টে অভিযোগকারীকেই সাসপেন্ড করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, প্রমাণ হওয়ার আগেই অভিযোগ জনসমক্ষে এনেছেন সুদীপ্ত। ফলে পাঠভবনের অধ্যক্ষা বধিরূপা সিংহের মানহানি হয়েছে। এবার রেহাই পেলেন না দুই পড়ুয়ারাও।
আরও পড়ুন: সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ, রুখতে এলে বেধড়ক মার পুলিসকর্মীকে