নিজস্ব প্রতিবেদন: আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্ভাব্য জোট দলের মূল ভাবধারার বিরোধী বলে মন্তব্যে করেছিলেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। ওই মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে টুইটার সরব হওয়ার পর ফের আনন্দ শর্মাকে বিঁধলেন অধীর চৌধুরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান বলেন, দলকে বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দিয়ে কাকে খুশি করতে চাইছেন আনন্দ? বিজেপি ও তৃণমূলকে খুশি করার জন্য টুইটার যদি কিছু লেখা হয় তা দলের মতামত হতে পারে না। তাই আমি ওঁর বিরোধিতা করেছি।


আরও পড়ুন-হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে Suvendu, অস্বস্তি Abhishek-এর


কী বলেছিলেন আনন্দ শর্মা? ISF এর সঙ্গে সম্ভব্য জোট নিয়ে আনন্দ শর্মা সোমবার টুইট করেন,  'আইএসএফ বা ওই ধরনের কোনও দলের সঙ্গে জোট কংগ্রেসের মূল ভাবধারার বিরোধী। ধর্ম নিরপেক্ষতার যে আদর্শ গান্ধী ও নেহরুর প্রচার করেছিলেন তার পরিপন্থী। বিষয়টি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল। যে কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কংগ্রেসকে লড়াই করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের প্রধানের আইএসএফকে সমর্থন করা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। এর ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁকে।'


আনন্দ শর্মার ওই মন্তব্যের পরই তেতে ওঠেন অধীর(Adhir Chowdhury)।  বলেন, 'আমরা একটি রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছি। দিল্লির অনুমোদন ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।'  এর পরই একের পর এক টুইট করে আনন্দ শর্মাকে এক হাত নেন। অধীর লেখেন, সিপিএম একটি ধর্মনিরপেক্ষ ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারই অংশ আমরা। আমরা বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে পরাস্ত করতে চাই। যাঁরা এর পক্ষে তারা চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের পাশে দাঁড়ান। তা না করে অনেকে বিজেপির এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছেন। কংগ্রেসের একাংশকে অনুরোধ পার্সোনাল কমফর্ট জোনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করা বন্ধ করুন।


আরও পড়ুন- ভোটবাংলায় মমতার জন্য গান বাঁধলেন কবীর সুমন  


বুধবার অধীর আরও বলেন, আমার সঙ্গে সরাসরি বামেদের কথা হয়েছে। বাকি কারও সাথে আমার কথা হয় নি। ওঁর কিছু যদি বলার থাকত তাহলে ফোন করেই বলতে পারতেন। পশ্চিমবঙ্গে একদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি উল্টোদিকে স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল। এই দুইয়ের আক্রমণে আমরা জেরবার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ২০১৬ সালে যেমন বামেদের সঙ্গে জোট করেছিলাম, ২০২১ এও বামেদের সাথে জোটের কথা বলেছি।