নিজস্ব প্রতিবেদন:  'কবি নজরুলের দেশ এই বাংলা, আর মমতা বাঙালি ঘরে'। রাজ্যে সরকারের খুনের মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্তের পর অন্য সুর বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের (Anisur Rahaman) গলায়। বললেন, 'রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে বিজেপির স্বাগত জানানো উচিত, সম্মান করা উচিত। কিন্তু তা না করে বিরোধিতা করা হচ্ছে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঁশকুড়ায় তৃণমূল নেতা কুরবান শাহের খুনে মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান (Anisur Rahaman)। প্রায় এক বছর জেলে ছিলেন তিনি। ভোটের (WB Assembly Election 2021) মুখে এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন নিহতের এক আত্মীয়। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'এই বিজ্ঞপ্তি একপাক্ষিক, দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভাবনাচিন্তাবিহীন।' এদিকে ততক্ষণে সরকারি বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করে বেকসুর খালাসের রায় ঘোষণা করে দিয়েছে নিম্ন আদালত (Lower Court)। তমলুক হাসপাতাল থেকে কার্যত ফেরার হয়ে যান আনিসুর রহমান (Anisur Rahaman)। ঘণ্টার চারেক বাদে ফের কোলাঘাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।


আরও পড়ুন: নিমতায় আক্রান্তের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ মুখে এলাকার CPM বিধায়ক


এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান (Anisur Rahaman)। তমলুক আদালতে বেরোনোর সময়ে তিনি বলেন, 'আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নেই, ইচ্ছাও নেই। মন্ত্রী কিংবা ৩৫টি পদে কোনও দরকার নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমাকে তৃণমূল করতে দেওয়া হয়নি'। আনিসুরের আরও বক্তব্য, 'রাজ্য সরকার মামলা প্রত্যাহার করেছে। এখানে আমার কোনও ভূমিকা নেই। কুরবান ও স্ত্রীর প্রতি সমবেদনা রয়েছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। তা না করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে'।


আরও পড়ুন: 'BJP-কে একটিও ভোট নয়', পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ শিলিগুড়ি


প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আনিসুর রহমান একসময়ে যুব তৃণমূলের (TMC) পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে দলবদল করে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। সূত্রের খবর, শাসক দলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আনিসুর। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলত্যাগী এই নেতাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেকারণেই মামলা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত।