নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের শেষ ৩ দফা, একদফায় করার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একসঙ্গে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে না বলে তাতে রাজী হয়নি নির্বাচন কমিশন। এদিকে, রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদি-মমতার, টুইট শাহ-নাড্ডা-ধনখড়ের


বালুরঘাটের সভা থেকে আজ মমতা বলেন, এই যে করোনা(Coronavirus)দেখছেন! করোনা চলে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বলল, করোনা চলে গিয়েছে। তাহলে ফের হল কী করে? দ্বিতীয়বার হচ্ছে মানে বেশি করে হচ্ছে। এখন বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে করোনা ছড়িয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি প্রথম থেকে বলে আসছি, বহিরাগতরা গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে, আর রোগ ছড়াচ্ছে। মনে রাখবেন, এটা ম্যান মেড ডিজাস্টার নয়। প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi) এবার জনগনের উপরে পুরো ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েছেন। জনগন এবার সামলাবে। তুমি বাড়িয়ে দিয়ে এবার বলছো জনগন দেখবে? এটা ভারত সরকারের ডিজাস্টার। মোদী মেড ডিজাস্টার।


রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ার জন্য বিজেপির প্রাচারকে বারবারই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি নিজের সভাও সংক্ষিপ্ত করেছেন। এদিন বালুরঘাটে করোনা টিকা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন মমতা(Mamata Banerjee)। বলেন, দেশে করোনার ওষুধ নেই, ইঞ্জেকশন নেই। আমাদের দেশের তৈরি করা ওষুধ বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। একশো শতাংশের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ওষুধ বাইরের দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন দেশে ওষুধ নেই, ইঞ্জেকশন নেই, অক্সিজেন নেই। আমাদের শুধু নয়, দিল্লি, মহারাষ্ট্রে হাহাকার চলছে। আমাকে কোভিডও সামলাতে হচ্ছে, আবার প্রচারও করতে হচ্ছে। 


আরও পড়ুন-'অভিভাবকহীন সাংস্কৃতিক জগত, শঙ্খ ঘোষই ছিলেন শেষ যবনিকা', প্রতিক্রিয়া বিশিষ্টজনদের  


রাজ্যে করোনা চিকিত্সার ক্ষেত্রে এই ভোট প্রক্রিয়াকে একটা বাধা বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছে, অবজার্ভাররা এসেছে। তাদের বাড়ি ঘর, স্টেডিয়াম ছেড়ে দিতে হয়েছে। ফলে আমি সেফ হাউস(Safe House) করতে পারছি না। তার পরেও গতকাল আমরা বেশকিছু জায়গা নিয়েছি, ১০০ হাসপাতালকে করোনা চিকিত্সার জন্য বুক করেছি। চিন্তা করবেন না। করোনা হলেই যে সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে তার কোনও মানে নেই। কারও যদি অল্প উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই চিকিত্সা করতে পারেন।