নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই নির্বাচন কমিশন (ECI) ঘোষণা করেছিল যে, বাংলায় সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা-ই লক্ষ্য। একুশের ভোটের (WB assembly election 2021) আগে সেই লক্ষ্যে এবার আরও তত্পর হল কমিশন। গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে যেসব বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল, কমিশনের নজরে এবার সেইসব বুথ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৬-র বিধানসভা (Assembly Election) এবং ২০১৯ সালের লোকসভা (Loksabha Election) ভোটে যে সকল বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। সেগুলির দিকে এবার বিশেষভাবে নজর দিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। কোন কোন বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে কমিশন। সেইসব বুথের উপর আলাদা নজরদারি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেইসব বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা, লোকসভা ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে বার বারই সন্ত্রাসের অভিযোগের সরব হয়েছে বিরোধীরা। 'ভোট লুঠ', 'রিগিং' করে নির্বাচনে জেতার অভিযোগ করেছে। এমনকি শিবির বদলে ঘাসফুল থেকে পদ্মফুলে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও তোপ দেগেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat) কোনও গণনা হতে দেওয়া হয়নি। গণনার নামে প্রহসন হয়েছে। ওয়াকিবহল মহলের মতে নির্বাচনের কমিশনের (ECI) নয়া পদক্ষেপে এটা পরিষ্কার যে, কোনও অভিযোগকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে না। বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে কমিশন।


উল্লেখ্য, ভোটের আগে আগামিকালই রাজ্যে আসছেন ২ পর্যবেক্ষক (Observer)। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরে এসে পৌঁছবেন অজয় নায়েক (বিশেষ পর্যবেক্ষক) ও বিবেক দুবে (পুলিশ পর্যবেক্ষক)। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল, ৮ দফা ভোটের পুরো সময়টা তাঁরা রাজ্যেই থাকবেন। জেলায় জেলায় ঘুরবেন।


আরও পড়ুন, লিড দিলেই '১ কোটি' পুরস্কার ঘোষণা Firhad-এর, 'খুনের সুপারি'র সঙ্গে তুলনা Samik-এর


'নিরপেক্ষ থাকবেন না', Deputy Election Commissioner-কে অপসারণের দাবি TMC-র