নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে(WB Assembly Election 2021) এনআরসি, সিএএ-র মতো বিষয়কে প্রচারে খুব বেশি জোর দিয়ে তুলে আনছে না বিজেপি। কিন্তু আজ ভাঙড়ের সভায় এনআরসি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, তৃতীয় দফায় ৮৩২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন কমিশনের


ভাঙড়ের সভায় আজ মমতা বলেন, রাজ্যে NRC হতে দিইনি। শুধু এরাজ্যেই হয়নি। আমি আছি বলে হিন্দুরা ভালো আছে, মুসলিমরা ভালো আছে। আমি না থাকতে কেউ ভালো থাকবে না। আমি রামকৃষ্ণ দেবের অনুগামী। ওরা ছদ্মবেশী দানব। ওরা বলে, হরেকৃষ্ণ হরি হরি, মহিলাদের নির্যাতন করি। গুজরাট বাংলা শাসন করবে? গলায় দড়ি দেব কিন্তু গুজরাটকে বাংলা শাসন করতে দেব না।


এদিকে, ভাঙড়ে প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্রকে দলেই প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল দলে। প্রার্থী ঘোষণার পর প্রকাশ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। এমনকি ক্ষোভে দলীয় কার্যালয়ও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেই ক্ষোভ সরিয়ে দলের প্রচারে নেমেছেন আরাবুল। আজ ভাঙড়ের সভায় দেখা যায় আরাবুলকে(Arabul Islam)। মঞ্চে উঠে তিনি মমতার সঙ্গে কথাও বলেন।



আরও পড়ুন-রাফাল চুক্তির পর ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীকে ৯ কোটি টাকা 'উপহার' দাসোর, কিন্তু কেন?


ভাঙড়ে দলের কর্মীদের মধ্য অসন্তোষের বিষয়টি হালকাভাবে ছুঁয়ে গিয়ে আজ মমতা বলেন,ভাঙড়কে আমি দীর্ঘদিন চিনি। রেজাউল করিম এখানকার প্রার্থী। রেজ্জার সাহেব, আরাবুল, কাইজার ছিল। অনেক ভাবনাচিন্তা করেই প্রার্থী করা হয়েছে রেজাউল করিমকে। চিকিত্সকদের একটি টিম নিয়ে দলে যোগ দিয়েছেন রেজাউল। এখানে একটি হাসপাতাল করতে চাই। রেজাউল করিমকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। জমি রাখা আছে।


ভাঙড়ে(Bhangor) বিদ্যুতের সাবস্টেশন করা নিয়ে প্রবল জলঘোলা করেছিল বিরোধীরা। মমতা বলেন, এখানে বিদ্যুতের খুঁটি পোতা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। মিটে গিয়েছে। এখানে সব হয়েছে। ইংলিশ মাধ্যম স্কুল হবে। বানতলাতে অনেক চাকরি হয়েছে। আরও হবে। ভাঙড় তো বাংলার মডেল! সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। সবার জন্য উন্নয়ন করা হয়েছে।


ভাঙড়ে জোরদার প্রচার করার চেষ্টা করছে আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ। ফলে সংখ্যালঘু ভোট কাটার একটা প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এনিয়ে মমতা নাম না করে তীব্র আক্রমণ করেন আব্বাস সিদ্দিকিকে(Abbas Siddiqui)। বলেন, ফুরফুরাকে সম্মান করি। তবে সেখান থেকে একটা ছদ্মবেশী গদ্দার বেরিয়েছে। এদের ভোট দেবেন না। দেখবেন ভোটের সময় পুলিস দিয়ে ভয় দেখাবে। ছবি তুলে রাখবেন। হাতা, খুন্তি দিয়ে আদর করে দেবেন।