নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তাঁর দাবি, অমিত শাহরে নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধার সৃষ্টি করছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোচবিহারের সভা থেকে মমতা(Mamata Banerjee) বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভোট। কিন্তু ভোট এলেই কিছু পুলিস বিজেপি হয়ে যায়। সবাই নয়। পুলিসের নেতারা এ কাজ করে। গতকাল আরামবাগে আমার দেখে নিয়েছি। আরামবাগের ওসির রোল দেখেছি। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।


আরও পড়ুন- BJP-কে ভোট ও মোদীর সভায় লোক আনার জন্য হাজার টাকার কুপন বিলি করা হচ্ছে: Sukhendu Sekhar  


কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মমতা বলেন, সিআরপিএফ(CRPF) যদি ভোট দিতে বাধা দেয় তাহলে একদল মহিলা তাদের ঘিরে রাখবেন। অন্যরা ভোট দেবেন। আমি সিআরপিএফকে শ্রদ্ধা করি।  ওরা রিয়েল জওয়ান। কিন্তু 'দে আর ডুইং নুইসেন্স'। আমি বিজেপি-র সিআরপিএফকে রেসপেক্ট করি না। এরা মহিলাদের মারছে।  মানুষকে হ্য়ারাস করছে। সুকমাতে(Sukma) এত জওয়ানদের মেরেছে। কী করছে সরকার ওদের জন্য। এখন বলছে যাও ভোট করিয়ে এসো। বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে। মহিলাদের ভোট দিতে নিষেধ করছে। পুলিসকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন, দেখবেন  কোনও ভোটারকে যেন মারধর করা না হয়।


আরও পড়ুন-বাড়ছে Corona আক্রান্ত, বন্ধ হোক ভোট, কমিশন অফিসের সামনে PPE কিট পরে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ


তৃতীয় দফার ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করার অভিযোগও তোলেন মমতা। বলেন, কাল এত অত্য়াচার করেছে কি বলব! তৃণমূল প্রার্থী  সুজাতা মণ্ডলকে বাঁশ দিয়ে মেরেছে। তার সিকিউরিটিকে বাঁশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। গোঘাটে আমার বুথ প্রেসিডেন্টেকে পর্যন্ত খুন করেছে। খানাকুলে আমাদের প্রার্থী নাজবুলকে পিটিয়েছে। আর মেয়েরা যাতে ভোট দিতে না পারে তার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স এসে দাঁড়িয়েছে গ্রামে গ্রামে। বলেছে ভোট দেওয়া যাবে না। কী মা-বোনেরা? আপনাদের কেউ যদি বলে ভোট দেওয়া যাবে না শুনবেন? সাহস আছে? মনে রাখবেন শান্ত হওয়া ভালো। কেউ যদি দুষ্টুমি করে তাকেও থাপ্পড় দিতে হয়। ভোটটা আপনাদের দিতে হবে। বিজেপি মা-বোনেদের ভয় পাচ্ছে। এরা ক্ষমতায় এলে কোনওদিন হয়তো এআরসি করবে। বলবে তুমি বাদ ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাও।  আমি করতে দেব না। বাংলায় সব মানুষ ভারতের নাগরিক।