মিষ্টিমুখে জয় শ্রীরাম, খেলা হবে! Vote-এর বাজারে সন্দেশেই ফুটছে পদ্ম, ঘাসফুল
বাংলা মানেই তো মিষ্টি। আর মিষ্টি মানেই বাংলা।
অয়ন ঘোষাল- বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়? বাংলা বিজেপিকে চায়? বাংলা বাম-কংগ্রেস জোট চায়? কী চায় বাংলা? উত্তর মিলবে ২রা মে। তবে একটা কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাংলা মিষ্টি (Sweet) চায়। ভোজনরসিক বাঙালি রকমারি পদের শেষে অবশ্যই মিষ্টিমুখ করতে চায়। আর আপনিও যদি সেই দলে পড়েন, তাহলে আপনার জন্য ভোটের দিন ঘোষণার পরই শহরে হাজির ভোটের মিষ্টি। এই মিষ্টি খেয়েই ভোটের প্রচার হবে। এই মিষ্টি দিয়েই প্রার্থীর আপ্যায়ন হবে। এই মিষ্টি মুখে পুরে হবে জয়ের আবীর খেলা। কারণ, বাংলা মানেই তো মিষ্টি। আর মিষ্টি মানেই বাংলা। সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের মতো।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম ভোট পার্বণ (Wb assembly election 2021)। আর সেই ভোট (Vote) কি মিষ্টি ছাড়া সম্ভব? আসলে Lockdown-এ যখন সর্বত্র তালা ঝুলেছিল, তখন সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। প্রতিদিন উৎপন্ন হওয়া টন টন প্রাণীসম্পদ, অর্থাৎ দুধ রাস্তায় ফেলে দিতে হয়েছিল । তাই Unlock পর্বের শুরুতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মিষ্টান্ন শিল্পীদের দাবি ছিল, অবিলম্বে মিষ্টির দোকান খোলার ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় এই শিল্পকে চিরদিনের জন্য ভরাডুবির হাত থেকে পরে আর বাঁচানো যাবে না । তবু এখনও মিষ্টি শিল্পের ভাঁটা কেটে জোয়ার আসেনি।
আরও পড়ুন- ভোটারদের সচেতনতায় মডেল EVM তৈরি করে তাক লাগাল নাগরাকাটার পড়ুয়ারা
বিজয়া দশমী বা ভাইফোঁটাতেও গত বছর ছিল পুরোদস্তুর করোনা আবহ। বিক্রিবাট্টা মেরেকেটে ছিল 40 থেকে 45 শতাংশ। এবার তাই ভোট বাজারে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস মিষ্টির ছড়াছড়ি। পাশে অবশ্যই আছে জয় শ্রী রাম এবং খেলা হবে মিষ্টি । ভোটে যেই জিতুক, যতই অশান্তি হোক, শেষে বজায় থাকুক মিষ্টত্ব। এই আশা রেখেই ভোট স্পেশাল মিষ্টি ।