নিজস্ব প্রতিবেদন: বৈদ্যবাটিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। তাঁর হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের পরই তীব্র হয়েছিল  জল্পনা। তার আড়াই মাস পর গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন জিতেন্দ্র (Jitendra Tiwari)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) বিজেপিতে যোগদান নিয়ে শুরুতে আপত্তি তুলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এ দিন আসানসোলের সাংসদ বলেন,'অনেক দিন ধরেই ওঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কাজ করার তীব্র ইচ্ছা ওঁর। আজও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। আসানসোলের বড় নেতা উনি। স্মার্টসিটি করতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। লিখিতভাবে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েছিলেন।'        


স্মার্টসিটি নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে আসানসোলের তৎকালীন পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) চিঠিকে কেন্দ্র উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। ফিরহাদ ও জিতেন্দ্রর মধ্যে চলে কথার লড়াই। এরপর ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বিজেপিতে আসতে পারেন বলে শুরু হয় জল্পনা। তবে আপত্তি জানান বাবুল সুপ্রিয়, অগ্নিমিত্রা পল ও সায়ন্তন বসুরা। দলের অবস্থান বিরোধী মন্তব্য করায় সায়ন্তন বসুকে শোকজও করে বিজেপি।


অন্যদিকে, কলকাতায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। ওই বৈঠকের পর জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) জানিয়ে দেন,'দিদিকে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে বাঁচতে পারব না। দলেই আছি। দল ছাড়ছি না। ইস্তফা গ্রহণ না করতে অনুরোধ করব। দিদির কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেব।' কানাঘুষো শোনা যায়, বিজেপির রাজ্য নেতারা নিমরাজি হওয়ায় দলেই থেকে যান জিতেন্দ্র। তবে রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লি বিজেপি কড়া বার্তার পর আর কেউ মুখ খোলেননি। বিজেপিতে জিতেন্দ্রর আসার পথও প্রশস্ত হয়। 


আরও পড়ুন- ও কোন হরিদাস পাল যে এখানে গো হত্যা বন্ধ করবে, Yogi-র বিরুদ্ধে হুঙ্কার Anubrata-র  


দলীয় কর্মসূচিতে আর তেমন সক্রিয় হতে দেখা যায়নি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। ফিরে পাননি সভাপতির পদ। এর মাঝে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সঙ্গে বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছিল, বিজেপির (BJP) পথেই কি জিতেন্দ্র? গত মাসে তাঁকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। মনে হয়েছিল, দলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে ফেলেছেন জিতেন্দ্র। তবে তার দু'সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই দলবদল করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।


আরও পড়ুন- রেলশহর পুনরুদ্ধারে নামছেন 'জায়ান্ট কিলার' Dilip Ghosh?