নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের গুন্ডাদের সনাক্ত করতে আর মাত্র ২৮ দিন বাকি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারা অনেকেই জেলে রয়েছে। অনেকেই যমলোকে। এদেরও এই দশা হবে। আজ হুগলির খানাকুলের সভা থেকে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়াকে নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে টোন-টিটকিরি কাটছেন মোদী, পরিস্থিতি উদ্বিগজনক: শশী পাঁজা


খানাকুলের সভায় আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath) বলেন, আমি রাম ও কৃষ্ণের জন্মভূমি থেকে রামকৃষ্ণের জন্মভূমিতে এসেছি। এ মাটি নেতাজির মাটি, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মাটি। শুধু জাতীয়তাবাদ নয়, গোটা দেশের আধ্যাত্মিক চেতনাকে প্রশস্ত করেছে বাংলা। কিন্তু আজ যখন বাংলার কথা হয়, তখন বলা হয় বাংলায় এখন শুধুই গুন্ডারাজ, অরাজকতা চলছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাকে মুক্তি দেওয়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি।
 
মমতাকে(Mamata Banerjee) নিশানা করে আদিত্যনাথ বলেন, আপনি সংবিধানের শপথ নিয়ে ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কার্যকর্তাদের খুন করছে। এই গুন্ডাদের শনাক্ত করতে মাত্র ২৮ দিন রয়েছে। এরপর সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা অনেকে জেলে, যমলোকে চলে গেছে। কথা দিচ্ছি, ২ মে এর পর এই গুন্ডাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের কার্যকর্তা যারা খুন হয়েছেন, তাদের খুনের উপযুক্ত শাস্তি দেব আমরা। ভারতীয় জনতা পার্টি যা বলে, তা করে দেখায়।


আরও পড়ুন- 'ওইসব জেলায় অবজারভার ছিলেন শুভেন্দু',  BJP নেতার '৯০০ কোটি'র বোমার পাল্টা জবাব কুণালের


রাজ্য সরকারকে বিঁধে আদিত্যনাথ বলেন,  এই সরকার দুর্গাপূজা করতে দেয় না, লক্ষীপূজা, সরস্বতী পূজা, হোলি হতে দেয় না। এমনই অবস্থা ছিল উত্তরপ্রদেশেও। কিন্তু এখন উত্তরপ্রদেশে সব কিছু হয়। উত্তরপ্রদেশ আয়ুষ্মান ভারত, সরকারি চাকরি, গরিবকে বিনামূল্যে রেশন, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সুরক্ষা নিধি, সরকারি চাকরি সহ সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়।  খানাকুল কৃষক প্রধান অঞ্চল। গত ১০ বছরে বাংলায় অসংখ্য কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কৃষকদের দুঃখের কথা শোনেন না মমতা। কৃষকদের সঙ্গে নেই। উনি গুন্ডাদের সঙ্গে আছেন।  অযোধ্যায় রাম মন্দির(Ram Mandir) নিয়ে এতদিন এত প্রশ্ন ছিল, কিন্তু মন্দির হচ্ছে। এতে সমস্যা হচ্ছে দিদির, তাঁর খারাপ লাগছে। কারন, মন্দির তৈরি দিদির পছন্দের নয়। দুর্গাপূজাকেও দিদি পছন্দ করেন না। কেন?  বিজেপি যেভাবে অযোধ্যায় রামমন্দিরের স্বপ্ন পূরণ করেছে, সেভাবে বাংলাতেও বিকাশ হবে, যুব সম্প্রদায়ের জন্য চাকরি হবে, কৃষকদের কিষান সুরক্ষা নিধির সুবিধা পাবেন। ৬ এপ্রিল ভোট দিয়ে খানাকুলের প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে জিতিয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করুন।