West Bengal Election 2021: দফা সাতে বিকল্পের ডাক, সনিয়া-কেজরীর মতো ১৪ অবিজেপি নেতানেত্রীকে Mamata-র পত্র
চিঠির শুরুতেই দিল্লিতে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করে বিল পাশের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবিজেপি নেতাদের এক মঞ্চে আনার প্রক্রিয়া শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপির বিরুদ্ধে ৭ দফা ইস্যু তুলে ধরে চিঠি দিলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার (Mamata Banerjee) অভিযোগ, ভারতে একদলীয় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বিজেপি (BJP)। রাজ্য সরকারগুলিকে পুরসভার পর্যায়ে নামিয়ে দিতে চাইছে তারা।
নোটবাতিল হোক বা জিএসটি- বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়মিত সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত লোকসভা ভোটে ব্রিগেডে মমতার জনসভায় এসেছিলেন অবিজেপি নেতারা। তবে সেই জোট বাস্তবায়ন হতে পারেনি। এ বঙ্গেই তো আলাদা আলাদা লড়াই করেছিল বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল। নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের আগের দিন আরও একবার বিরোধী শিবিরকে এক জায়গায় আনার জন্য উদ্যোগ নিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। চিঠি দিলেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ার, এমকে স্টালিন, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নবীন পট্টনায়েক, জগন রেড্ডি, কেএস রেড্ডি, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি ও দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে।
চিঠির শুরুতেই দিল্লিতে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করে বিল পাশের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লিখেছেন,'২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছিলেন আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তা মানতে পারেনি বিজেপি (BJP)। তারা উপরাজ্যপালের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিল আঘাত করেছে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয়। তবে দিল্লি ব্যতিক্রমী নয়, গোটা দেশেই এটা করছে বিজেপি।'
সাত দফা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
১. রাজ্যপালকে ব্যবহার করে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্বাচিত সরকারকে বিব্রত করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না রাজ্যপালরা। তাঁরা বিজেপি নেতা হিসেবে কাজ করছেন।
২. অবিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধ ইডি, সিবিআই ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার অপব্যবহার করছেন। পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে ভোটের সময় তৃণমূল ও ডিএমকে নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। শুধুমাত্র অবিজেপি নেতাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে।
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্য সরকারগুলিকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। যাতে তারা উন্নয়নমূলক ও জনমোহিনী প্রকল্পগুলির সুবিধা সাধারণ মানুষ না পান।
৪.ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ইন্টার-স্টেট কাউন্সিল ও প্ল্যানিং কমিশনের মতো সংস্থা তুলে দিয়েছে। নীতি আয়োগের কোনও ক্ষমতা নেই। রাজ্য সরকার দাবিদাওয়া পেশ করতে পারে, এমন সব মঞ্চকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
৫.অবিজেপি সরকার ভাঙতে অঢেল টাকার ব্যবহার করছে বিজেপি। সেই টাকার যোগান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
৬. সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণের নীতি গণতন্ত্রের উপরে আঘাত করছে। কারণ, এগুলি দেশের সাধারণ মানুষের।
৭.রাজ্য ও কেন্দ্র, বলা ভালো, কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে এমন তিক্ত সম্পর্ক স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বেনজির। তার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব।
মমতার (Mamata Banerjee) অভিযোগ, বিজেপি এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় ভারতে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সাংবিধানিক অধিকার ও স্বাধীনতা কেড়ে তাদের পুরসভায় পরিণত করে ফেলতে চায় বিজেপি। অবিজেপি দলগুলিকে একজোট হয়ে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প তৈরির ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটপর্ব মিটলেই এনিয়ে সকলের সঙ্গে আগামীর পরিকল্পনা রূপায়ন করতে আগ্রহী তিনি।
আরও পড়ুন- WB Assembly Election 2021: লক্ষ্মীবারে নন্দীগ্রামে Mamata, পাশের দুই জেলায় 'মার্কিং' Modi-র