নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। অক্সিজেনের জোগান কম। ভ্যাকসিনও মিলছে না। প্রথম ডোজ যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা হাঁ করে বসে রয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের জন্য। কিন্তু বিজেপি সভাপতির দাবি, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহের 


রাজ্যে প্রচারে এসে জে পি নাড্ডা(J P Nadda) এক জনসভায় বলেন, মমতাজি এখন অনেক কথাই তুলছেন। বলছেন, ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। মমতাকে বলব, বাংলার মানুষের যে সেবা কেন্দ্র করছে তাতে বাধা দেবেন না। বাংলায় যখন করোনা তুমুলভাবে সংক্রমিত হচ্ছিল তখন কেন্দ্র এখানে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছিল। তাকে আপনি সরকারি গেস্ট হাউসে আটকে রেখেছিলেন। তাদের বাইরে বের হতে দেওয়া হয়নি যাতে বাস্তবটা দেখে ফেলে।


এনিয়ে পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, একটা নির্লজ্জ দল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ, বিজেপি, কর্ণাটক, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র কি তৃণমূলের? সংকটের এই সময়ে গোটা দেশের সর্বনাশের মূলে এই বিজেপি। উদ্ধব ঠাকরে যখন নরেন্দ্র মোদীকে খুঁজে বেড়িয়েছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে ব্যাস্ত। অক্সিজেন(Oxygen) নেই, জীবনদায়ী ওষুধ নেই। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে দিয়েছে। অন্য সময় এক দেশ, এক সংবিধান। আর এখন এক দেশ আর বিভিন্ন রকম টিকার দাম? করোনার টিক কেন্দ্র পাবে এক দামে,  রাজ্যগুলি পাবে বেশি দামে, আর খোলা বাজারে বিক্রি হবে আরও বেশি দামে!এই কেলেঙ্কারিটা তো জে পি নাড্ডা চাপিয়ে দিচ্ছেন!


আরও পড়ুন-যেন বাংলার যুযুধান রাজনীতির দিকে তাকিয়েই মহাবাণী উচ্চারণ করেছেন এই মহামানব! 


নাড্ডাকে বিঁধে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, কলডাউনে(Lockdown) কোথায় ছিলেন! এখন আসছেন তো ভোটের প্রচারের জন্য। তখন কোথায় দরদ ছিল প্রধানমন্ত্রী অমিত শাহদের! করোনা তহবিলের টাকা এখনও কেন বকেয়া রয়েছে? বাংলায় গতবার যেভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছিল, এবারও তেমনভাবেই লড়াই করা হচ্ছে।