নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে বিজেপিকে ভোট দিতে বলার অভিযোগও উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এরকম হলে সিআরপিএফকে ঘেরাও করে রাখার নিদান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলে কোনও দিন হয়তো NRC করবে BJP, বলবে ডিটেনশন ক্যাম্পে যাও: Mamata


এনিয়ে পাল্টা সরব বিজেপি। এনিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমাদের প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কার বিরুদ্ধে লড়ছেন? ভারতকে টুকরো করার জন্য কি নির্বাচনে লড়াই করছেন? সিআরপিএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে ভোট করানোর জন্য। তারা নির্বাচনে অংশ নেয় না। মমতা হঠাত্ তাদের প্রতিপক্ষ বলে মনে করে সাধারণ মানুষকে খ্যাপাচ্ছেন কেন? সমাজে কেন এক অব্যবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন? সাধারণ মানুষকে কেন বলছেন হাতা খুন্তি নিয়ে এগিয়ে যাবেন, সিআরপিএফকে ঘেরাও করুন! এসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সামিল। মমতার গলায় আতঙ্কবাদীদের সুর। উনি ভারত বিরোধী কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার অর্থ ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করা। উনি রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছেন? খুব অন্যায় কথা বলেছেন।


মমতার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনে গেল বিজেপি। দলেন নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন,  এরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে মমতাকে সেন্সর করা হোক।


অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে এসব কথা বলছেন তাতে একটা প্ররোচনার প্রতিফল ঘটছে। এটা ঠিক হচ্ছে বলে মনে করি না। আজ বলেছেন মহিলারা সিআরপিএফকে ঘিরে রাখুন। গতকাল বলেছিলেন, ঝগরাটে মহিলারা যারা দলে রয়েছেন তাদের বুথে বসান যাতে তাঁরা বুথে ক্যাচাল করতে পারেন। এসব রাজনীতিতে সদার্থক নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মমতা কেন তৈরি করতে চাইছেন তা জানি না। তৃণমূল কি জবরদস্তি ভোট করাতে চাইছেন? সিআরপিএফ যেমন বাধা দেবে সেটা কাম্য নয়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এসব মানায় না।


এনিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, উনি সিআরপিএফ নিয়ে বলেছেন। রাজ্য পুলিস যদি ভোট দিতে বাধা দেয় তাহলে কী হবে। উনি কী চান তা উনি বলেননি। সেটা মহিলাদের উনি বলুন । মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওনার নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। 


আরও পড়ুন- দিনহাটায় BJP-র প্রচারে হামলা, চুরমার সিতাইয়ের প্রার্থীর গাড়ি 


মমতাকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, উনি যেটা বলেচেন তা ঠিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ভূমিকাই পালন করতে পারছে না। উনি একটা সহজ সমাধনের কথা বলেছেন। একজন মহিলা থাকলে পঞ্চাশ জন সিআরপিএফকে ঘিরে রাখো। এটা খুব স্বাভাবিক একটা উপদেশ। কাল যেসব জিনিস হয়েছে তাতে মনে রাখতে হবে সিআরপিএফ কিছু করেনি। সুজাতা মণ্ডল মার খেয়েছে। নির্মল মাজি মার খেয়েছে। তাই মমতা যা বলেছেন তা ঠিকই।


মমতা এদিন কোচবিহারের সভা থেকে বলেন, সিআরপিএফ যদি গন্ডগোল করে তাহলে তাদের ঘিরে রাখুন মেয়েরা। শুধু ঘিরে রাখলেই হবে না। একদল ঘিরে রাখুন অন্যরা ভোট দিয়ে আসুন। কারণ এটাই বিজেপির চাল, যাতে ঘেরাও করতে গিয়ে কেউ ভোট দিতে না পারে। সিআরপিএফ যদি বলে ভোট দিতে যাবেন না। ওদের কথা শুনবেন না। এফআইআর করে রাখবেন।