নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার তেহট্টের সভা থেকে মতুয়াদের উন্নয়নে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।  অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক দুর্নীতির কথা টেনে এনে সরব হলেন শাহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্ষমতায় এলেই মতুয়া ধাম ঠাকুর নগর-কে ঢেলে সাজানোর কথা ঘোষণা করলেন অমিত শাহ। তেহট্টের বেতাইয়ের সভা থেকে অমিত শাহ ঘোষণা করেন, গত ১০ বছরে মতুয়াদের জন্ কিছুই করেনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ক্ষমতায় এলেই মতুয়া-নমঃশুদ্র বিকাশ বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার গঠন হওয়ার পরই ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম শ্রীধাম ঠাকুরনগর করা হবে। ঠাকুরনগরকে টুরিস্ট সার্কিটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ধামকে পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।


আরও পড়ুন-'খুবই ভয়ঙ্কর'! করোনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা 


তৃণমূল কংগ্রেস কি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে পারবে? প্রশ্ন তোলেন শাহ(Amit Shah)। তিনি বলেন, তৃণমূল তো নয়ই সিপিএম, কংগ্রেসও পারবে না। কারণ ওদের ভোটব্যাঙ্ক হল এই অনুপ্রবেশকারীরা। এই কাজ একমাত্র বিজেপিই পারে।  রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়ে দিন, সীমান্ত পার করা মানুষ তো দূরের কথা, পাখিও ঢুকতে পারবে না। এই দিদি বলেন, যতক্ষণ আমি আছি ততক্ষণ মতুয়া ও নমঃশুদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে না। আরে দিদি! কতদিন আছেন আপনি? ২ মে আপনার বিদায় নিশ্চিত। তারপর মতুয়া ও নমঃশুদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে। দিদি, যারা এতদিন এখানে বসবাস করছে তারা নাগরিকত্ব পাবে না? কারণ আপনার ভোটব্যাঙ্কের মানুষদের তাতে আপত্তি আছে বলে? আমরা ভোট ব্য়াঙ্কের রাজনীতি করি না।


আরও পড়ুন-করোনা পরিস্থিতিতে কমিয়ে দেওয়া হবে ব্যাঙ্কের সময়?


কেন্দ্রের কিষান সম্মান নিধির প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্র গোটা দেশের কৃষকদের বছরে ৬০০০ টাকা দেয়। আপনারা কি পান? দিদি বলেন, ওই টাকার দরকার নেই। বলুন তো ওই টাকার প্রয়োজন আছে কি নেই! আমি বলে যাচ্ছি, ক্ষমতায় এলে আপনাদের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে তিন বছরের ১৮,০০০ টাকা জমা করে দেব। মোদীজি কিষাণ সম্মান নিধি দিতে চান। আর দিদি চান ভাইপোর সম্মান। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এনেছিলেন মোদী সরকার। ওই টাকা আপনারা পান না। কারণ দিদি(Mamata Banerjee) তা রুখে দিয়েছে। দিদিকে সরিয়ে দিন। ২মে থেকে ৫ লাখ টাকার চিকিত্সা যোজনা সবার জন্য করে দেবেন। মোদীজি আর্থিক উন্নতি চান। আর দিদি চান দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত।