'খুবই ভয়ঙ্কর'! করোনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ধীরেন গুপ্তা জানাচ্ছেন,হাসপাতলে ভর্তি শিশুদের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মিউটেন্ট হতে হতে এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এই নতুন মিউটেন্ট করোনা এখন বৃদ্ধদের পাশাপাশি একরত্তি বাচ্চাদের কাবু করছে। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক শিশু। মূলত, এক বছর থেকে পাঁচ বছর বাচ্চাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভাইরোলজিস্ট থেকে শুরু করে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা এই করোনার দাপট কে 'খুব ভয়ঙ্কর' বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ধীরেন গুপ্তা জানাচ্ছেন,হাসপাতলে ভর্তি শিশুদের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছে। যাদের শরীরে করোনা উপসর্গ প্রকট। এতদিন যাবৎ করোনা মূলত শারীরিকভাবে দুর্বল বা অসুস্থ এবং বয়স্কদের ভয়ের কারণ ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, করোনা বয়স্কদের শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক আকার নিচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা মূলত বয়স্কদের জন্য প্রথম চালু করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের তথ্য বলছে অন্য কথা। রেহাই পাচ্ছে না ছোটরা। এমনকি আজকের দিনে ৮ মাসের একরত্তি শিশুও করোনায় কাবু, ভর্তি হাসপাতালে।
সাত-আট বছরের বাচ্চাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি, সদ্যজাত শিশুদের শরীরে ঢুকেও তান্ডব করছে করোনা। করোনার প্রথম ঢেউয়ে বলা হয়েছিল নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ বয়সের হিসেবে যারা ১৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে, তাদের শরীরে করোনা তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদেরকেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
এখন প্রশ্ন কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে এই ন্যানোমিটারের ভাইরাসের হাত থেকে? বিশেষজ্ঞদের মতে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া সতর্কবিধি কড়া ভাবে পালন করুন। বাচ্চাদের যতটা সম্ভব বাড়ির মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন অযথা বাইরে বেরোবেন না। যাদের বাড়িতে সদ্যোজাত শিশু রয়েছে, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মা ছাড়া যতটা সম্ভব তাদের সংস্পর্শে যাতে কেউ না আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একরত্তি শিশুকে কখনও মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব হয়না। তাই যতটা কঠিন ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভব তারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।