নিজস্ব প্রতিবেদন:  দিন যত গড়াচ্ছে ততই অভিযোগ আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কোথাও  তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। কোথাওবা তৃণমূল কর্মী-নেতাকে মারধরের অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম বিধানসভার গুড়ো পাশলা গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক তৃণমূল সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে প্রথমেই জানতে চায় কোন দল করিস? তৃণমূল জানার পরই মারধর শুরু। এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতার। পান্ডবেশ্বরের একটি বুথে মার খেয়ে প্রায় এরকমই অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন-বাবার দেহ গাড়ির ছাদে বেঁধে শ্মশানে নিয়ে গেল ছেলে!


নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি রুবল আলির অভিযোগ, বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি গাছের তলায় গরমের জন্য বসেছিলাম। বিএসএফের(BSF) ৩ জওয়ান এসে জিজ্ঞাসা করল, কোন পার্টি করিস? বললাম তৃণমূল করি। ফের প্রশ্ন, এখানে কী করছিস? বললাম গাছের ছায়ায় বসে রয়েছি। একথা শোনার পরই ওরা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। বলে বেশি কথা বললে ফায়ার করে দেব। একজন কানে বন্দুক ধরেছিল। অন্যজন মারছিল। বাঁ হাতটা ভেঙে গিয়েছে। পিঠ প্রচুর লাঠির বাড়ি মেরেছে।


আরও পড়ুন-ভোট দেওয়া হল না বুদ্ধবাবুর, মিলল না চিকিৎসকের অনুমতি


এদিন পাণ্ডবেশ্বর(Pandabeswar) বিধানসভার ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর বুথে আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আক্রান্ত কৃষ্ণেন্দু বলেন, ২১৭ নম্বর বুথে আমাদের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দিচ্ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) জওয়ানরা। আমি গিয়ে বললাম আমাদের যিনি পোলিং এজেন্ট আছেন তিনি সকাল থেকেই রয়েছেন। তাঁকে রিলিফ দেওয়া হোক। আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই মারধর শুরু হয়ে যায়। যখনই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম বলেছি তার পরেই মারধর শুরু। বলল, তৃণমূলের দালালি করছ? আমাকে মেরে ওখানেই ফেলে দিয়েছিল। ওখান থেকে তুলে নিয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।