নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের পরে নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে না তো? পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডেকে চিঠি দিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। জেলাশাসককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিজেপি প্রার্থীর ভাই।

 

বাবা, দাদা ও এক ভাই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। দাদা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবার একুশের ভোটে নন্দীগ্রামে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে লড়ছেন। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর গেরুয়াশিবিরে নাম লিখেছেন ভাই সৌমেন্দু। এমনকী, বাবা যাননি বাবা, সাংসদ শিশির অধিকারীও (Sisir Adhikari)। ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগেই অমিত শাহের (Amit Shah) হাত ধরে দলবদল করেছেন তিনি। নন্দীগ্রামে ভোট মিটতেই এবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডকে চিঠি দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। 

 


 

চিঠির শুরুতে 'নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট পরিচালনা করা'র জন্য জেলাশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিব্যেন্দু।  তবে 'নিজের ব্য়ক্তিগত আশঙ্কা'র কথাও গোপন করেননি তিনি। চিঠিতে লিখেছেন, 'সাম্প্রতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আশঙ্কা করছি যে, ওই এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। যার জেরে ওই এলাকার মানুষের সাধারণ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন ধ্বংস হতে পারে।’ জনজীবনে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সংহতি বজায় রাখতে সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন জেলাশাসককে।


 


 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট হল নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের ৩০টি আসনে। তবে সকলের নজর ছিল মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথেই। টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোটগ্রহণ চলেছে নন্দীগ্রাম। কে জিতবেন? ভোটগ্রহণের পর শুভেন্দু দাবি করেন, 'বেগমের এখান থেকে জেতা হচ্ছে না। ২ মে ইস্তফা দিতে হবে।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা হুঁঙ্কার, 'তৃণমূল ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। নন্দীগ্রামে জিতছি আমি-ই'।