নিজস্ব প্রতিবেদন: ডোমজুড়ের সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে রাজীবকে গদ্দার,মীরজাফর বলার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলা ও দুবাইয়ে সম্পত্তি করার অভিযোগও তুললেন তৃণমূল নেত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-BJP এলেই বাংলাতেও মেয়েদের স্কুলের বাইরে Anti Romeo Squad, ঘোষণা যোগীর


ডোমজু়ড়ের সভা থেকে মমতা বলেন, ক্ষমা চাইছি, আগেরবার এক গদ্দারকে এখানে নমিনেশন দিয়েছিলাম। সেই গদ্দার, মীরজাফর জনগনের টাকা মেরে নিয়েছে। ও প্রথমে ছিল সেচ দফতরে। সেচ দফতরে থাকাকালীন ওর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ পেয়েছিলাম। ওকে সরিয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট দিলাম। আমায় কি বলেছিল জানেন? বলেছিল, আমাকে কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে দিন। মানে অনেক বেশি টাকা মারা যাবে। আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। বুঝতে পারেনি। দেখতে লম্বা-চওড়া, ফর্সা, কীকরে বুঝব ওর ভেতরে এসব আছে? এত গদ্দারি লুকিয়ে আছে? 


রাজীবের(Rajib Banerjee) সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন মমতা। বলেন, ওকে জিজ্ঞাসা করুন কলকাতায় কত জায়গা রয়েছে তোমার? অন্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার আগে সবাইকে বলো, দুবাই থেকে কলকাতা কত সম্পত্তি করেছো। আমি তো এসব জানতামই না। তাহলে আগেই ওকে সরিয়ে দিতাম। কল্যাণ হয়তো ওর মতো দেখতে সুন্দর নয়। কিন্তু কোথায় আগুন লাগলে ঝাঁপিয়ে পড়বে, কেউ মার খেলে রক্ষা করবে। বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে। এখন আবার গানের ক্যাসেট বের করছে। সব নাকি উনি করেছেন। উনি হরিদাস মিনিস্টার। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কী করেছে! আপনাদের কাছে আবেদন, ডোমজুড়ে আপনারা গদ্দারকে পরাজিত করবেন।


আরও পড়ুন-সুজাতা-কান্ডের রিপোর্টে খুশি নয় কমিশন, ফের তলব রিপোর্ট


মমতা(Mamata Banerjee) বলেন, আমরা ভোট চাইছি কেন? উন্নয়নের জন্য ভোট চাইছি। কৃষকদের জন্য করছি। কৃষকদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। জমির খাজনা নেওয়া হয় না। কন্যাশ্রী আমার গর্ব। স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই টাকা পায় মেয়েরা।  বিজেপি মানুষের পকেটে কেটেও গ্য়াসের দাম হাজার টাকা করেছে। ভোটের সময় কমাবে। পরে ২ হাজার টাকা করে দেবে। গ্যাসের বদলে ক্যাশ দিলে হবে না। বিনা পয়সার চাল দেব। আর হাজার টাকার গ্যাস দিয়ে তা ফোটাবেন! এক লক্ষ বাইরের নেতাদের নিয়ে এখানে পড়ে রয়েছে যাতে বাংলাকে গুজরাট বানানো যায়। আমি বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না।  মীরজাফর একটা দুটো হয়। বাংলায় এই কালচার নেই। মনে রাখবেন  লড়ে নেব। বুকের পাটা আছে লড়াই করার? কোভিডের সময় তো আসো নি। এখন কেন? বিজেপি ছদ্মবেশী শয়তান। দানবের দল। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরি হরি, মানুষের ভালো করি। আর ওরা একটা গেরুয়া পরবে আর বলবে, হরেকৃষ্ণ হরি হরি মানুষের পকেট চুরি করি।