Rajib-কে ফোন TMC শীর্ষ নেতার, সমস্যা সমাধানে চাইলেন ৩ মাস সময়

 ২২ জানুয়ারি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।

Updated By: Jan 26, 2021, 06:35 PM IST
Rajib-কে ফোন TMC শীর্ষ নেতার, সমস্যা সমাধানে চাইলেন ৩ মাস সময়

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) দলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। যুব স্তরের ওই শীর্ষ নেতৃত্ব সোমবার ফোন করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দল না ছাড়ার জন্য বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে সব সমস্যা সমাধান করার জন্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে তিন মাস সময়ও চেয়ে নেন তিনি। অন্যদিকে, এদিন ডোমজুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজীব বলেন, ডোমজুড় থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি। যদিও কোন দল থেকে তিনি লড়বেন, তৃণমূল না বিজেপিতে যোগ দেবেন, তা স্পষ্ট করেননি। বলেন, "ডোমজুড়বাসীর সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আগামীতে ডোমজুড়ের মানুষ বুঝিয়ে দেবে কে তাদের পরিবারের লোক আর কে বাইরের।"

উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। মাস দেড়েক ধরেই বেসুরো ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একাংশের বিরুদ্ধে বার বার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। স্তাবকতার অভিযোগ করেছেন। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন। অনুপস্থিত থাকেন একের পর এক ক্যাবিনেট মিটিংয়ে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় বেসুরো হতেই জল্পনা ছড়ায়, তবে কি শুভেন্দুর মত এবার তিনিও বিজেপিতে? যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও BJP-তে যাচ্ছেন বলে কোনও ঘোষণা করেননি।

এরই মাঝে আচমকা মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তারপরই গত শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব (Rajib Banerjee)। ইস্তফা দেওয়ার মুহূর্তে অবশ্য নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, "আমার মনে অনেক চাপা ক্ষোভ ছিল। অনেক অভিমান ছিল। সেগুলো একদিনে হয়নি। অনেকেই জানেন না, আমি আড়াই বছর আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতাম। মানুষের মধ্যে কাজের মাধ্যমে যদি কেউ ছাপ ফেলে যায় সেটাই বড় কথা।" 

আরও পড়ুন, 'দলের মধ্যে ব্রাত্য', TMC-র হুগলি জেলার কোর কমিটি থেকে ইস্তফা বিধায়ক Prabir Ghosal-র

আরও বলেন, "কেউ চিরকাল একই দফতরের মন্ত্রী থাকে না। আমিও থাকব বলে আশা করিনি। তবে আমার মন্ত্রিত্ব বদল করা হল কিছু না জানিয়ে। এই ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অন্তত সতীর্থ হিসাবে সৌজন্য আশা করেছিলাম। আমাকে অন্তত জানানো হবে দফতর বদলের কথা, এটা আশা করেছিলাম। আমি টিভিতে দেখে জানতে পেরেছিলাম, সেচ থেকে সরিয়ে আমাকে বনমন্ত্রী করা হয়েছে।"  

আরও পড়ুন, ফেব্রুয়ারি ১৬-র পর কালীঘাটেও ফুটছে পদ্ম? Suvendu-র দাবি ঘিরে বড় জল্পনা

.