নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে হামলা ও বাহিনীর পাল্টা গুলি চালনার সময় ওয়েব কাস্টিং হয়নি। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালনার পরই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যে তাদের উপরে হামলার দাবি করছে তার কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ দেওয়া হোক। পাশাপাশি কমিশনের কাছে  ওই ১২৬ নম্বর বুথের ওয়েব কাস্টিংয়ের কোনও ফুটেজ রয়েছে কিনা তাও প্রকাশ করা হোক। এনিয়ে এবার ওই চাঞ্চল্য়কর তথ্য মিলল।


আরও পড়ুন- 'পাপ করেছেন দিদি', 'পিকের ২৭%' পুরোটাই BJP-র পালে টানতে বাংলায় দলিত কার্ড Modi-র


কমিশন(Election Commission) সূত্রে খবর, ওই বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। তবে ঘটনার সময়ে ওই ১২৬ নম্বর বুথে কোনও ওয়েব কাস্টিং হয়নি। প্রয়ুক্তিগত কোনও কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।  তবে বুথে লাগানো ক্যামরায় ঘটনার রেকর্ড হয়েছে। তা খতিয়ে এখন দেখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে অফলাইন থাকার কারণে সব ছবি রেকর্ড হয়েছে কিন্তু তা কমিশনে পৌঁছয়নি। তবে রেকর্ড হওয়া ওই ফুটেজ থেকে বোঝা যেতে পারে সেদিন আসলে কী হয়েছিল।


উল্লেখ্য, ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা ছিল বুথের ভেতরে । আর গোলমাল হয়েছিল বুথের বাইরে। বোমা পড়া বা কেন্দ্রীয়বাহিনী কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালিয়েছিল তা কতটা ক্যামেরায় ধরা পড়ছে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


আরও পড়ুন-প্ররোচনামূলক ভাষণ! Mamata-র প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের  


এদিকে, শীতলকুচি(Shitalkuchi) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন তুঙ্গে তখন এনিয়ে ২টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।   কেন ও কীভাবে গুলি চলল তার তদন্ত এবং মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণে দাবিতে ওই দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি মামলা করেছেন আইনজীবী আমিরউদ্দিন খান। তাঁর আবেদন, কীভাবে গুলি চলল তা তদন্ত করে দেখা হোক এবং মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত হোক, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে কোম্পানিটি ওইদন ডিউটিতে ছিল তাদের ভোটের ডিউটি থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক। আগামিকাল জানা যাবে ওই মামলার শুনানি কবে হবে।