নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিচালনার প্রসঙ্গ টেনে রানাঘাটের সভা থেকে অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা নয়, এনিয়ে কথা বলতে গিয়ে পুলওয়ামায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুরপ্রসঙ্গও টেনে আনলেন মমতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রানাঘাটের সভায় মমতা এদিন বলেন, শীতলকুচিতে যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের প্রত্যেকের নাম আছে আমার আছে। একটা ফোর্সকে উস্কানি দিচ্ছে। এই পার্টিকে ব্যান করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি পুরোটাই করেছেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রীও জানেন সব। পুলওয়ামার ঘটনা আমাদের মনে আছে। যাদের মারতে গিয়েছিলেন, নিজের লোককে মেরে চলে এসেছিলেন। বেশি মুখ খোলাবেন না। দেশকে ভালোবাসি বলে অনেককিছুই বলি না। ট্রাম্পের হয়ে মিটিং করতে গিয়েছিলেন। এখন মতুয়া ভোট চাই তাই মতুয়ার এমপি নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন।


উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের(CRPF) কনভয়ে জঙ্গি হানায় নিহত হন ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান। ওই হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে বোমা ফেলে আসে ভারতীয় বায়ুসেনা। মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে রানাঘাটের সভায় কী বলতে চাইলেন তা অবস্যা স্পষ্ট নয়।  


আরও পড়ুন- Corona Second Wave মোকাবিলায় বড় দায়িত্ব পেলেন Sonu Sood


কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন,  আপনারা দেখেছেন শীতলকুচির(Shitalkuchi) ওইসব পরিবারকে যতটা সাহায্য করা যায় করেছি। কুড়ি, বাইশ বছরের ছেলেদের মেরে দিয়েছে। প্ল্য়ান করে মেরেছে। বিজেপি পুরোটা এসপির সঙ্গে বসে প্ল্য়ান করেছে। তদন্ত করবই। কীভাবে প্ল্যান করা হয়েছিল। একটা মেয়েকে পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বলো আমার মেয়েকে লুটে নিয়ে গিয়েছে। তার পর গুলি চালিয়েছে। যে রাজবংশী ভাই মারা গিয়েছে তাকেও আমি সাহায্য করব।


রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাজ করেছি বলেই বলছি। আগে কাজ করি তারপর বলি। আর ওরা করব বলে, কিন্তু করে না। ১৫ লাখ টাকা দেবে বলেছিল,দেয়নি।  উজ্জ্বলা যোজনা এখন হাওয়া। চাষিরা আগামিদিন ১০ হাজার টাকা পাবে। ওরা হিন্দু-মুসলমান করার চেষ্টা করে। মানুষ মরে গেলে হিন্দু-মুসলমান হয়? নাকি রক্তে হিন্দু-মুসলমান আছে! ওরা প্রথমে নিজেদের একটা লোককে খুন করেছে।  ওরা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। দেখলেন না, ওদের এক মহিলা এমপি নিজের গাড়ি নিজেই ভাঙছিলেন? দেখেছেন? এরা নিজের লোককে নিজেরাই মেরে ফেলতে পারে। আপানারা চান তো আমরা একটু শান্তিতে থাকি?


আরও পড়ুন-ক্ষমতা ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে দিচ্ছ, তুমি গুন্ডাদের চৌকিদার, বারাসতে Modi-কে তোপ Mamata-র


মমতা আরও বলেন, বিজেপি মনে করছে রাজনীতি করা মানে গুলিচালনার অধিকার দেওয়া। ৪টে লোকে গুলি করে মেরে দিল। বিজেপি বলছে, ৪ জনের জায়গায় ৮ জনকে গুলি করা উচিত ছিল। সবাইকে মেরে ফেল? একটা রাজনৈতিক দল যারা বলছে গুলি চালিয়ে দেওয়া উচিত তাদের ব্যান করা উচিত। এক হাতে ঝান্ডা আর এক হাতে ডান্ডা নিয়ে ওরা বাংলা দখল করবে। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। তার পর বলছে ৪ জনের জায়গায় ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। এরা নেতা! এরা দেশের নেতা হবে? এরা গুলি চালাতে বলবে, মানুষ মারতে বলবে। এরা নিজের গাড়ি নিজে ভাঙবে। তার পর ভোট চাইবে।  আপনারা এদের ভোট দেবেন! 


এনআরসি নিয়ে কী করেছিল মনে আছে? মমতা বলেন, অসমে ১৪ লাখ লোকের নাম বাদ ভোটার লিস্ট থেকে। বহু লোককে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর ভোটে, কোথায় কোথাও পুলিসকে দিয়ে অত্যাচার করেছে বলে শুনছি। বাংলায় এসে ভোট চাইছে? আগে এনআরসি, এনপিআর প্রত্যাহার করো। বাংলায় এনপিআর করতে দিইনি। এনপিআর হলেই বলবে তোমার কাছে কী কী আছে বল, তারপর বলবে তুমি বাদ। আপনারা কি চান বাংলা উত্তরপ্রদেশ হয়ে যাক, গুজরাট হয়ে যাক, বহিরাগত গুন্ডাদের হতে চলে যাক? যদি না চান তাহলে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। আমরা ছদ্মবেশী ধর্ম করি না। নদিয়া থেকে আনন্দমোহন বিশ্বাসকে আপনারা এমপি করেছিলেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে নদিয়া তৃণমূলের জন্মদাত্রী। গতবার এই সিটে আমরা হেরেছি। কারণ এখানে বিজেপি আমাদের নামে মিথ্যে রটিয়েছিল। টাকা ছড়িয়েছিল। যাকে আপনারা জিতিয়েছেন তিনি কী করে বেড়াচ্ছেন, দেখেছেন তো? রাজনীতি করা মানে করে খাওয়া নয়।