WB Assembly Election 2021: ক্ষমতা ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে দিচ্ছ, তুমি গুন্ডাদের চৌকিদার, বারাসতে Modi-কে তোপ Mamata-র

বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ হতে দেব না বলে ফের হুঙ্কার দেন মমতা

Updated By: Apr 12, 2021, 05:26 PM IST
WB Assembly Election 2021: ক্ষমতা ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে দিচ্ছ, তুমি গুন্ডাদের চৌকিদার, বারাসতে Modi-কে তোপ Mamata-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: রানাঘাটের পর বারাসতের সভা থেকেও শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে মোদীকে নিশানা করলেন মমতাব বন্দ্যোপাধ্যায়।

বারাসতে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, গত ১০ এপ্রিল একদফা ভোট হয়ে গেল। ওই ভোটে নরেন্দ্র মোদী সরকার গুলি চালিয়ে দিল। আমরা ৪ ভাইকে কেড়ে নিল। তার পরও কোনও অনুশোচনা নেই। প্রধানমন্ত্রী এসে ক্লিন চিট দিয়ে চলে যাচ্ছে। একজন প্রধানমন্ত্রী হতে গেল কথাবার্তা বুঝে বলতে হয়। উনি যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে পাড়ার রকে বসে অল্পয়সী ছেলেরা রকে বসে যেভাবে কথা বলে তারাও এভাবে কথা বলে না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও মান নেই।

আরও পড়ুন- চিনও খুঁজছে আরও উপযোগী কোনও টিকা

মমতা বলেন, গোটা দেশকে অধঃপতনে চলে গিয়েছে। নোটবন্দির নামে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামিয়ে দিয়েছেন, ব্যাঙ্ক বেচে দিচ্ছে, সেল বেচে দিচ্ছে, দাঙ্গা লাগাচ্ছে, রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, বিএসএনএল(BSNL) বিক্রি করে দিচ্ছে, মানুষকে গুলি করে মারছে। মানুষে মানুষে বিভেদ লাগিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি নেতারা বলছে, ৪ জনকে কেন ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল। এইসব নেতাদের রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত নয়। একজন প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিচ্ছেন, ভ্যাংচাচ্ছেন। ভ্য়াংচানি প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে আমাদের দেশ। আমিও প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ  সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। কিন্তু বলার সময় একটা লিমিট রাখি।   কেন ভোট দেবেন বিজেপিকে? কাকে চাকরি দিয়েছে, কোন বাড়িতে আলো জ্বালিয়েছে, কোথায় দলিতদের সম্মান দিয়েছে? উত্তরপ্রদেশ থেকে সর্বত্র অত্যাচার চালিয়েছে তারা আমার নামে মিথ্যে কথা বলছে।   আমি কেন ভোট চাইছি? কারণ আমি কন্যাশ্রী করেছি, শিক্ষাশ্রী করেছি, রুপশ্রী করেছি, তপসিলি ভাইবোনেদের ৭০ লাখ স্কলারশিপ দিয়েছি। মারা গেলে সত্কারের জন্য ২ হাজার টাকা দিয়েছি। বারো ক্লাসে ১০,০০০ টাকা দিয়েছে ট্যাব কেনার জন্য, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দিয়েছি। ৫ লাখ টাকার চিতিত্সা করতে পারবেন। আর বিজেপি তুমি কী করেছ? গুলি করে লোক মেরেছ, তুমি গুন্ডামি করেছে  , কোনও ভোট নেই। গদ্দারি করেছ, কোনও ভোট নেই। নোটবন্দি করেছ, কারখানা বন্ধ করে দিয়েছ, কোনও ভোট নেই তোমাদের।

বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের মানুষদের উদ্দেশ্য মমতা বলেন, ঘরে বসে রেশন চান? ইটাভাটা চালু করতে চান? তাহলে তৃণমূলকে ভোট দেন। আমপানে ৮,০০০ কোটি টাকা দিয়েছি। নরেন্দ্র মোদী বড়বড় কথা বলে। এক পয়সা দেয়নি তার উপরে বড়বড় কথা বলে। এই বসিরহাটে নতুন জেলা করব। বসিরহাট পুলিস জেলা, স্বাস্থ্য জেলা আগেই করেছি। আর্সেনিকমুক্ত জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ চাকরি হয়েছে। বেকারি কমে গিয়েছে। আর দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী গদিতে বসে ২ কোটি মানুষের চাকরি খেয়েছে। গুলি করে লোক মেরে দিচ্ছে, দাঙ্গা করছে, এনআরসি করছে, এনপিআর করছে, মানুষ মানুষে বিভেদ লাগিয়ে দিচ্ছে। আমরা এনপিআর চাই না। আমরা এনপিআর করতে দিইনি। করতে দেব না। আপনারা সব মানুষ এখানকার নাগরিক। বাংলাদেশের মানুষ পশ্চিমবাংলায় এলে বলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে। আর নরেন্দ্র মোদী ভোটের সময় ভোট বাক্স ভরার জন্য ওখানে একজনকে নিয়ে চলে গেল। ভোটের রাজনীতি! মতুয়া ভাইবোনরা জেনে রাখুন, আপনাদের নাগরিকত্ব আমরা দিয়েছি। বিজেপি দেয়নি। আপনাদের মতুয়া বোর্ড আমি তৈরি করে দিয়েছি। আগামী দিন বিজেপি মুখে ভালো করে ঝামা ঘষে দিতে হবে। যে যে ভাষা বোঝে। 

আরও পড়ুন-মঙ্গলে নীল ও হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ করল নাসা

বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ হতে দেব না বলে ফের হুঙ্কার দেন মমতা। হাথরস(Hathras) ভুলে গিয়েছে মানুষ? এখানে এসে তপসিলি বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে? মিথ্যবাদী প্রধানমন্ত্রী! এতই যদি ভোট পাবে বলে মনে করো তাহলে বাংলায় জেলি প্যাসেঞ্জারি কর কেন? এখন বাংলা চাই? যা ভোট হয়ে গিয়েছে তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। সব ক্ষমতা ব্যবহার করে মানুষের উপরে গুলি চালিয়ে দিচ্ছ? কতবড় কথা বলে বিজেপি নেতারা? বলে ৪ জনের পরিবর্তে ৮ জনের উপরে গুলি চালিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আমি বলি তোমাকে আগে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তোমার জেলে থাকা উচিত। ওদেরই এক এমপি ঝাড়খণ্ডের এক ঘটনাকে শীতলকুচির ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়েছে। এত মিথ্যবাদী। আমরা আমাদের রিপোর্ট কার্ড দেখাচ্ছি। তুমি কী করেছে বলো। তুমি ৬ বছর দিল্লিতে দাঙ্গা বাধিয়ে লোক খুন করেছ, তুমি উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা বাধিয়ে লোক খুন করেছ, অসমে ১৪ লাখ লোককে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিয়েছ। তুমি নিজেকে কী মনে করো? তুমি কিসের চৌকিদার। চলে যাক চৌকিদারি। তুমি গুন্ডাদের চৌকিদার। আমরা মানুষের পাহারদার। মানুষের দুঃখে আছি। ভোট চাইবার সময়ে হিন্দু-মুসলমান কেন? 

শীতলকুচির ঘটানার পর নিহতদে বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে যেতে দেয়নি।  কিন্তু আমি ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ১৪ তারিখে ওদের বাড়ি যাব। মনে রাখবেন ছেড়ে কথা বলব না। বাংলায় তৃণমূল জিতবেই। বিজেপি, সিপিএম আর ওই একটা দালাল কিছু করতে পারবে না। 

.