মৃত্যুঞ্জয় দাস: "কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে।" প্রচারে বেরিয়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূল প্রার্থীর। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। অরুপ চক্রবর্তীর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশন উঠছে পরোক্ষে কি তৃণমূল প্রার্থী হুমকি দিয়ে রাখলেন? বিজেপির খোঁচা,"তৃণমূল প্রার্থীর কি আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করার কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? তাই এই হুমকি দিয়ে রাখছেন!"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গতকালই কমিশন জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপডেট করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে প্রতিদিন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের। এই নির্দেশিকা জারি হতে না হতেই এবার পরোক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। অরূপ চক্রবর্তী গতকাল সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার মেজিয়ায় প্রচারে গিয়ে বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানাব। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা কর। কিন্তু গুলি চালাবে না। গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে।" তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের দাবি, "কেন্দ্রীয় বাহিনী অযথা কেন গুলি চালাতে যাবে? তাহলে কি তৃণমূল প্রার্থী অন্যান্য নির্বাচনের মতো বোমা, বন্দুক দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন?"  


প্রসঙ্গত, রুটমার্চ নিয়ে অভিযোগ আসছে কমিশনের কাছে। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চে স্বচ্ছতা আনতেই সমস্ত তথ্য কমিশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই প্রথমবারের জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কমিশন। ceowestbengal.nic.in-এই ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর রুটমার্চ নামে একটি অংশে ক্লিক করলেই সবাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন। বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য আগামী ২৯ মার্চ ২০২৪ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে হার্ড কপি এবং ই-মেলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।


একইসঙ্গে সেই তথ্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও পৌঁছে দিতে হবে CRPF-কে। CRPF-ই এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছে। লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই এবার আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কমিশন যে খুবই চিন্তিত, তা প্রথমেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সারা দেশে একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট করাতে কমিশন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চায়।


আরও পড়ুন, Satabdi Roy: তিহাড় থেকেই 'খেলবেন' কেষ্ট! 'খেলতে, খেলতে' ছড়া কেটে পালটা কটাক্ষ বিজেপির...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)