বিধান সরকার: সিঙ্গুরের দই খুব ভালো। খেয়ে বললেন রচনা। লকেট বললেন, আমি দই পাঠিয়ে দেব ওনার বাড়িতে! শুনে মনে হতেই পারে অভিনয় জগতের দুই সতীর্থের বন্ধুত্বের কারণেই হয়ত এমন মন্তব্য। কিন্তু আসলে ঘটনা একেবারেই বিপরীত। এতে ভরপুর রাজনীতি আছে। আজ সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়ে একতা ভোজে যোগ দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেড়াবেড়িতে দিন মজুর মানিক বাগের বাড়ির মাটির দাওয়ায় বসে খাওয়াদাওয়া সারেন। মেনুতে ছিল ভাত, বড়ি ভাজা, পটল ভাজা, শুক্তো, ভেজ ডাল, বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি, টক দই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রচনা বলেন, "এত ভালো দই এখানকার। আমি তো ভাবছি ব্যাগে করে দই নিয়ে যাব। যতবার আসব, ততবার দই নিয়ে যাব। সিঙ্গুর এত ঘাস-গাছপালায় ভর্তি। সেগুলো গরু খাচ্ছে। গরু তো শাকপাতা খেয়েই বড় হয়। আর সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। ফলে তার যে দুধটা বেরচ্ছে তা এত ভালো যে দইটাও এত ভালো।" তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "একদম সত্যি কথা বলেছেন। আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাব। সিঙ্গুরে তো গরু-ই চড়ছে।ঘাস, পাতা-ই হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ষের বীজ ছড়িয়ে গিয়েছিলেন। সিঙ্গুরে তো কোনও শিল্প করেননি। সিঙ্গুরে চাষও হয়নি। তাই ঘাস-ই দেখা যাচ্ছে। উনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি হয়ে সঠিকটাই বলেছেন। ওখানে গরু চড়ছে আর ঘাস খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে দুধ দিচ্ছে। সেই দুধ দিয়ে দই হচ্ছে। আমি ওনার বাড়িতে দই পাঠিয়ে দেব। জেতার পর আমি নিজে হাতে করে ওনাকে দই পাঠিয়ে দেব। শুধু এটুকু বলব এটা বলুন কেন সিঙ্গুরে ঘাস হল? কেন টাটার কারখানা হল না? কেন চাষিরা চাষ করতে পারল না?"


পাশাপাশি মাটির দাওয়ায় খেয়ে উঠে রচনা বলেন, "আগে কোনওদিন খাইনি। আমি খুব আনন্দ করে খেলাম। ভালো লাগল। মাটির বাড়ি খুব ঠান্ডা হয়। কিন্তু যারা এখানে থাকে, তাদের জন্য কষ্ট পেলাম। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দিনের পর দিন এরা কষ্ট করে থাকছে। তাদের কথা শুনে খুব কষ্ট লাগছে। তারা সবসময় ভয়ে থাকে। কখন ঝড়, জল আসবে! ভেঙে পড়বে বা টালি উড়ে যাবে। আমি যদি সংসদে যেতে পারি, তাহলে আবাসের প্রসঙ্গ তুলব। যাতে কেন্দ্র টাকা দেয়।"


যার পালটা জবাবে আবার লকেট বলেন, "ওনার তো ভালো লেগেছে মাটির বাড়ি। একবারও কি ভেবেছেন, যারা মাটির বাড়িতে আছেন, তারা কেন টাকা পাননি?" রচনা আবাস যোজনাকে 'আবাসন' বলায় তা ঠিক করে দিয়ে কটাক্ষ করে লকেট বলেন, "উনি তো জানেনও না প্রকল্পটার নাম কি! প্রকল্পটা হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আবাসন যোজনা বলে কিছু নেই। উনি জানবেন কী করে সারা দেশ জুড়ে ১২ কোটির বেশি বাড়ি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকেও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা পাওয়ার কথা তারা পায়নি। কারা পেয়েছে? ওখানকারই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানরা পেয়েছে। তাদের বাড়ি দেখে আসুন। সব তিনতলা, চারতলা বাড়ি। কারও মাটির বাড়ি নেই।" ওদিকে যার মাটির দাওয়ায় খাওয়া নিয়ে এই তরজা সেই মানিক বাগ বলেন, "ঘরের চাল দিয়ে জল পড়ে।পঞ্চায়েতে আবেদন করেছি ঘরের জন্য। বলেছে এলে পাবে।"


আরও পড়ুন, Jyotsna Mandi: 'পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা জেতার পর মানুষের কাছে যায় না!' বেফাঁস মন্ত্রী মান্ডি...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)