WB Panchayat Election 2023: শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তায় সুর নরম হুমায়ুনের, যোগ দিচ্ছেন অভিষেকের সভায়
প্রসঙ্গত কদিন আগেই হুমায়ুন কবীর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, `ক্ষমতা থাকলে দল আমাকে বহিষ্কার করুক`। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে `বেসুরো` হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি, `আমার একজন প্রার্থীও সরে দাঁড়়াবে না। নির্দল হয়েও জিতে দেখাব`।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সুর নরম হুমায়ুনের। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সভা বাতিল। যোগ দেবেন অভিষেকের ডোমকলের রোড শো-তেও। তবে জেলা সভানেত্রীকে সরানোর দাবিতে এখনও অনড় হুমায়ুন। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান বদল স্পষ্ট করেন হুমায়ুন। বলেন, 'অভিষেকের সভায় যোগ দিচ্ছি। আমার বিধানসভায় অনেকেই প্রার্থীপদ পায়নি। জেলা সভানেত্রীর অপসারণের দাবি করেছি। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সভা বাতিল করলাম।'
প্রসঙ্গত কদিন আগেই হুমায়ুন কবীর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'ক্ষমতা থাকলে দল আমাকে বহিষ্কার করুক'। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে 'বেসুরো' হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি, 'আমার একজন প্রার্থীও সরে দাঁড়়াবে না। নির্দল হয়েও জিতে দেখাব'। পঞ্চায়েত প্রার্থী কারা হবেন? এই নিয়েই তৃণমূলে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'। দল যাঁদের টিকিট দিয়েছে তাঁরা যেমন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তেমনি আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিক্ষুদ্ধরাও! মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের প্রতীক 'নৌকা' নিয়ে ভোটে দাঁড়ান তাঁরা।
পঞ্চায়েত ভোটে রণকৌশল ঠিক করতে কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যেসব দলীয় কর্মী নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, দয়া করে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন না, দলের হাত শক্ত করুন, বিরোধীর সুবিধা করে দেবেন না। অনুরোধ করি, আপনারা আপনাদের মনোনয়নপত্র উইথড্র করে নিন'। সঙ্গে কড়া বার্তা, 'যাঁরা আমাদের এই অনুরোধে সাড়া দেবেন, তাঁদের পাশে আগামী দিনে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যাঁরা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করবেন, আগামী দিনে দলের দরজা-জানলা তাঁদের সামনে চিরতরে বন্ধ থাকবে। এটা আমার কথা নয়। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা'।
ওদিকে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, 'এর আগেও বিনা কারণে, ২০১৫ সালের ২৬ ফ্রেরুয়ারি তৎকালীন মহাসচিব এখন যে মন্ত্রিসভায় আছে, ইন্দ্রনীল সেন, ২০১৪-র লোকসভা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে, হো-হারা অধীর চৌধুরীর কাছে হেরে, তার দায়ভার আমরা ঘাড়ে চাপিয়ে, চোখ বুজে আমাকে বহিষ্কার করে দিয়েছিল। আমার কিছু যায় আসে না। আমি ২০১৬-তে নির্দল দাঁড়িয়ে তার জবাব দিয়েছিলাম। আমি ওসব নিয়ে কিছু ভাবি না'।