নিজস্ব প্রতিববেদন: একুশের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বল এখন বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির কোর্টে।  প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী প্রচার থেকে ইস্তাহার প্রকাশ, ভোট নেওয়ার আগে একধাপ এগিয়ে থাকতে চাইছে সব দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার বাংলার বিধানসভা ভোট যেহতু বিজেপির(BJP) কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও চমক থাকা স্বাভাববিক। গেরুয়া শিবির এখনও তা প্রকাশ না করলেও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে একটি খসড়া ইস্তাহার। ওই খসড়া ইশতেহারেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূলের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিফলন থাকছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন-চার দিনের মাথায় একলাফে আরও দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের


ইশতেহার তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা থেকে সাধারণ মানুষের মতামত নিতে শুরু করেছে বিজেপি।  সেইসব মতামত এলে ওই খসড়া ইশতেহার সংশোধন, পরিমার্জন করে তা প্রকাশ করা হবে।


এরাজ্যে বিজেপি অবাঙালি সংস্কৃতি চালান করার চেষ্টা করছে বলে অভিযাগ করে থাকে বিরোধীরা। সেকথা মাথায় রেখে এবার বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে। এই দাবি অবশ্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র এখনও তাতে সবুজ সংকেত দেয়নি। ফলে সেদিক থেকে দেখতে গেলে তৃণমূলের রাস্তায় হেঁটেই ওই পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। তবে ইস্তাহার প্রকাশ না হওয়া পর্য্ন্ত তা নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না।


রাজ্যে এসএসসি(SSC)পরীক্ষা, পিটিটিআই(PTTI), প্রাইমারিতে নিয়োগ, প্য়ারা টিচারদের(Para Teacher) সমস্যা নিয়ে বরবারই সরব বিজেপি।  ওইসব বিষয়গুলিও  এবার থাকছে বিজেপির ইশতেহারে। এছাড়াও রাজ্যে সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো সংশোধন, বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ, নিয়মিত নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও থাকছে। ওই সব সমস্য়ার একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করবে বিজেপি। এমনটাই এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন-"আম্বানিকে আমরা মারব না, হুমকি চিঠি ভুয়ো", নয়া বার্তা জইশ উল হিন্দের


রাজ্যে শিল্প আসেনি। বড় সমস্যা জমি অধিগ্রহণ। এনিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে তৃণমূলের পথেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি। জোর করে জমি নেওয়া হবে না, পতিত জমি, বন্ধ করাখানার জমি শিল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে, জমি দাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ৬টি শিল্প পার্ক গড়া হবে। এমনটাই ঠিক হয়েছে খসড়া ইস্তাহারে।


এদিকে, সিএএ(CAA) ও শিক্ষা নীতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে বিজেপি। সিএএ চালু হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু হবে। সংস্কৃত ভাষা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা, ইতিহাস সংশোধন করার প্রস্তাবও থাকছে খসড়া ইশতেহারে।