নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মুখ্যমন্ত্রী কখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন? কোন কোন মন্দিরে গিয়েছিলেন? তাঁর সঙ্গে কতজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন'? নন্দীগ্রামকাণ্ডে এবার পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিস সুপারের (SP) কাছে আরও বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল কমিশন (EC)। সময় দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টা। এর আগে কমিশনে ৮ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন পুলিস সুপার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপর হামলার তত্ত্বেই অনড় তৃণমূল (TMC)। কাঠগড়ায় নির্বাচন কমিশন (EC)। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বক্তব্য, 'নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে পূর্বপরিকল্পিত আঘাত করা হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব। উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। এডিজি আইনশৃঙ্খলা, ডিজিকে বদল করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের প্রশাসনকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন করার চেষ্টা চলছে।' এরপর শাসকদলের কড়া চিঠি পাঠানোই শুধু নয়, দিল্লি থেকে মুখ্যসচিব ও বাংলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছে রিপোর্ট তলব করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)।


আরও পড়ুন: West Bengal Assembly Election : হুইলচেয়ারে করেই সোমবার থেকে জেলা সফরে Mamata


কী বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে? জাতীয় নির্বাচন কমিশনে মুখ্যসচিব রিপোর্ট দিয়েছেন যে, গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে চোট লেগেছে। বাইরে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। কিন্তু দরজা বন্ধ হল কী করে? বাইরে থেকে কী ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল? স্পষ্ট করে লেখা নেই রিপোর্টে। পায়ে চোট লাগার পর গাড়িতে বসে 'ধাক্কা দেওয়ার' অভিযোগ করেছিলেন মমতা। বস্তুত, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানায় FIR-ও করেছেন তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট। মুখ্যসচিবের রিপোর্টে কিন্তু সেই অভিযোগ মান্যতা পেল না। তবে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: West Bengal election 2021 : সব নজর এখন বাংলায়! ফের ২ দিন করে রাজ্য সফরে Modi-Shah


এদিকে নন্দীগ্রামকাণ্ডে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার আবার আলাদাভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৮ পাতার একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। এবার  তৃণমূলনেত্রীর সফরসূচি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ আরও বিস্তারিত তথ্য় জানতে চেয়ে ফের রিপোর্ট তলব করা হল।  প্রসঙ্গত, বারবার কর্মসূচি বদল ও আগাম খবর না থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিতে গিয়ে যে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পুলিসকে, মুখ্যসচিবের পাঠানো রিপোর্টে তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।