নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বা টিকার নেওয়ার শংসাপত্র না থাকলে যখন প্রার্থীদের গণনাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই, তখন বুথের ভিতরে ডিউটি করছেন করোনা আক্রান্ত আশাকর্মী! তাঁর দাবি, বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কোনও কথাই শুনতে চাননি। উল্টে বাড়িতে পুলিস পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। বাদ যায়নি শোকজও! কমিশনের আবার পাল্টা প্রশ্ন, কোভিড পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও ওই আশাকর্মী বুথে গেলেন কেন? হুলস্থুলকাণ্ড মালদহে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদহ বিধানসভা কেন্দ্রের সাহাপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের ১৭০ নম্বর বুথ। বাইরে তখন লম্বা লাইন। বুথের ভিতর কাজ করার সময়ে আচমকা আসুস্থ হয়ে পড়েন এক আশাকর্মী। অসুস্থতার কারণ কী? জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত! ওই আশাকর্মীর দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। শেষপর্যন্ত স্থানীয় মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যখন করোনা পরীক্ষা করান, তখন পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাঁর স্বামীও জ্বরে পড়েছেন, কোভিড পজিটিভ ১৪ বছরের ছেলেও। 


আরও পড়ুন: শীতলকুচির সেই বুথে পুনর্নির্বাচনে সাতসকালে BJP প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে অশান্তি


এই অবস্থায় বাড়ির বাইরে বেরোলেন কেন? করোনা আক্রান্তের অভিযোগ, রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই গোটা বিষয়টি বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শুনতে রাজি হননি। উল্টে বাড়িতে পুলিস পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত শোকজ করা হয় ওই আশাকর্মীকে। এরপর আর ঝুঁকি নেওয়া সাহস পাননি, সংক্রমিত হয়েও ভোট ডিউটি করতে সটান চলে আসেন বুথে। তবে ঘটনাটি জানাজানি না হওয়ার ভোটারের লাইনে উত্তেজনা ছড়ায়নি বলে জানা গিয়েছে। 


এদিকে এই ঘটনায় কার্যত হতবাক নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই ওই আশাকর্মীকে ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ বিধানসভার ১৭০ নম্বর বুথে নিয়োগ করা হয়েছে অন্য একজনকে। কমিশনের প্রশ্ন, করোনা পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও  বুথে গেলেন কেন? যাওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না।