নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক বিষয় রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে জানিয়ে এলেন রাজ্য বিজেপির ১৮ সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সামনেই পুরভোট, মতুয়ার ‘মন’ পেতে আজ পুরোদমে বনগাঁয় মমতা



রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে এক মহিলার ওপরে যেভাবে  অত্যাচার হয়েছে সেব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যে স্কুলে গত ৫০ বছর ধরে পুজো হতো তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রাজ্যে নারী নির্যাতন অনেকটাই বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সব বিষয়গুলি রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয়েছে।’  সরস্বতী পুজো বন্ধ নিয়ে লোকসভায় সরব হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।


প্রসঙ্গত, গঙ্গরামপুরে রাস্তা সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে এক মহিলার ওপরে অত্যাচার করে এলাকার তৃণণূল নেতা ও পঞ্চায়েতর উপপ্রধান। এমনটাই অভিযোগ।  ওই মহিলার জায়গা দিয়ে সরকারি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। তিনি তাতে বাধা দেন। রাস্তা তৈরি করতে এলে তিনি রাস্তার ওপরে বসে যান। তাঁকে পায়ে দড়ি বেঁধে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই উপপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।



আরও পড়ুন-ইন্দো-পাক মহারণ : টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক


উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে মূলত তিনটি বিষয় বলেছেন বিজেপি সাংসদরা। দলীয় সূত্রে খবর, গঙ্গারামপুরের ঘটনা, বিজেপি কর্মীদের ওপরে অত্যাচার ও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির ওপরেই মূলত জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়েও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত  করা হয়। বলা হয় রাজ্যপাল যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রশাসন নির্বাকার। রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের ওপরে অত্যাচার চলছে পুলিস  কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।


দিল্লিতে এদিন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, রাজ্যে কমপক্ষে এক হাজার বিজেপি কর্মীকে মিথ্যে মামলার ফাঁসানো হয়েছে।  সবেমিলিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে সিএএ বিলের বিরোধিতা করা হচ্ছে। সব বিষয় রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে।