জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিপিআইএম-এর জয় রুখতে ব্যালট পেপার খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। শেষপর্যন্ত জিতেও গিয়েছিলেন। আজবকাণ্ডটি ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে ভরকুণ্ডায় পঞ্চায়েতে। হার এড়াতে ব্যালট পেপার-ই খেয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সেই অশোকনগরে ফের ভোট। এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারণ, কমিশনের বক্তব্য, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নেওয়ার ফলে ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয়নি। সেই কারণেই ফের ভোট নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বামেদের দাবি, অশোকনগরের ভরকুণ্ডায় পঞ্চায়েতে ৩১ নম্বর বুথে গণনায় জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী  রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। ব্যবধান ছিল চার ভোটের। কিন্তু অভিযোগ, তারপরঅই গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে সিপিআইএম প্রার্থীর ব্য়ালট পেপার ছিঁড়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। এমনকী, অর্ধেক ব্যালট পেপার খেয়েও ফেলেন! তার কিছু পরই ৪৪ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল শাসকদলের প্রার্থীকে। 


অশোকনগর ছাড়াও সিঙ্গুরের একটি বুথে ফের ভোট হবে। পাশাপাশি, হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথেও ফের ভোট হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ১৫টি বুথে নির্বাচন প্রক্রিয়া রদ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ব্যালট ছিনতাইয়ের উল্লেখ রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সাঁকরাইলের সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গণনাকেন্দ্রে। গণনার সময় বিরোধী দলের প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া এমনকি মারধরের অভিযোগও উঠেছিল। সাঁকরাইলের শাসকদলের বিধায়ক প্রিয়া পাল পুলিসের উপস্থিতিতে গণনাকেন্দ্রে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিরোধীদের ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া হয় ও জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 


এই নিয়ে বিধায়কের নামে নির্বাচন কমিশনে ও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানায় বিজেপি ও সিপিআইএম। এরপরই বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ব্যালট ছিনতাইয়ের কারণ দেখিয়ে হাওড়ার সাঁকরাইলের মানিকপুর ও সারেঙ্গার ১৫টি বুথে নির্বাচন প্রক্রিয়া রদ করার বিষয়ে সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এই পদক্ষেপে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাদের অভিযোগে সিলমোহর দিল বলেই মনে করছে বিরোধীরা। বিজেপি হাওড়া সদরের সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, বিধায়ক ও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। 


হাওড়া জেলা সিপিআইএম সম্পাদক দিলীপ ঘোষও বলেন, বিধায়ক প্রিয়া পালের বিরুদ্ধেও তারা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাঁকরাইলে বুথগুলোতে ফের নির্বাচন হলে শাসকদল হারবে। বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে হাওড়া সদরের টিএমসি যুব সভাপতি কৈলাশ মিশ্র দাবি করেন, সাঁকরাইলের গণনা কেন্দ্রে বিরোধীরা একজোট হয়ে ব্যালট লুঠ করেছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে এসব করেছে। পুনর্নির্বাচন হলে টিএমসি জয়লাভ করবে। 


আরও পড়ুন, WB Panchayat Election 2023: ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিবের



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)