নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। দড়ি টানাটানিতে প্রাথমিকভাবে কোন পক্ষের জয় হল, তা জানা যাবে শুক্রবারই। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টেয় পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। সেই রায়ের উপরই নির্ভর করছে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মনোনয়পর্বে হিংসা, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েও কমিশনের পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রভৃতি বিভিন্ন ইস্যুতে আদালতে দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তারা। তবে ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চায়েত মামলা ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্টে। বিরোধীদের সব অভিযোগ, কমিশনের যুক্তি শুনে পঞ্চায়েত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।


আরও পড়ুন, বাম-বিজেপিকে সুপ্রিম নির্দেশ: হাইকোর্টে যান


এরপরই ১২ এপ্রিল পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবিধানের ২৪৩(O) ধারাকে তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া একবার শুরু হয়ে গেলেও দেশের কোনও আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অবিলম্বে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজের আর্জি জানান তিনি।


কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি খারিজ করে ১৬ এপ্রিল ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠায় পঞ্চায়েত মামলা। একইসঙ্গে নির্দেশ দেয়, প্রয়োজনে রোজ শুনানি করে দ্রুত পঞ্চায়েত মামলার নিষ্পত্তি করতে। তারপর থেকে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি- টানা তিনদিন রোজ সিঙ্গল বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার শুনানিপর্বে শেষে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় রায় ঘোষণার কথা জানান।


আরও পড়ুন, পিছলো আপিলের শুনানি, ঘোর অন্ধকারে পঞ্চায়েত নির্বাচন


আদালতকে কমিশন জানিয়েছে, রমজানের আগেই ভোটপর্ব সমাপ্ত করতে চায় তারা। কারণ তারপর বর্ষা চলে আসবে। বর্ষায় ভোট করা অসুবিধাজনক। পাশাপাশি রাজ্যও চায়, দ্রুত ভোট শেষ করতে। আদালতকে রাজ্যের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভোটের জন্য আদর্শ নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে। ফলে নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়ে গেলেও, এখন নতুন কোনও কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভোট যদি পিছিয়ে যায়, তাহলে কাজ আরও ব্যাহত হবে। ধাক্কা খাবে বাংলার উন্নয়ন।


অন্যদিকে, ভোট পিছিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পাল্টা দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী দাবি জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতে ভোটের। আদালতে সবপক্ষই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নিজেদের দাবি ও যুক্তি জানিয়েছে। এখন দেখার সিঙ্গল বেঞ্চ কী রায় দেয়? সেই রায়ের দিকেই তাকিয়ে সবপক্ষ।


আরও পড়ুন, সিঙ্গল বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার ৫ গুরুত্বপূর্ণ দিক


কমিশনের পূর্ব ঘোষিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ১ মে ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব কিনা, তা-ও নিশ্চিত হয়ে যাবে আজই। কারণ এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও পক্ষ অসন্তুষ্ট হলে, পাল্টা আবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে সেই পক্ষ। ফলে আজ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপরই নির্ভর করছে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যত।