Bengal weather Today: আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! মিগজাউম কি এসে পড়ল?
Bengal weather Today: অন্ধ্রের নেল্লোর ও মছলিপট্টনমের মধ্যে রয়েছে মিগজাউম ঘূর্ণিঝড়। আজ, মঙ্গলবার এই দুই শহরের মধ্যে বাপাতলা এলাকার উপর দিয়ে এগোবে মিগজাউম।
অয়ন ঘোষাল ও অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: চেন্নাই তো ভাসছে! অন্ধ্রপ্রদেশের অবস্থাও করুণ। পশ্চিমবঙ্গের কপালে কী নাচছে? মিগজাউমের বৃষ্টিতে কি ডুববে বাংলা? এই প্রশ্নটিই গতকাল সোমবার থেকে সকলের মুখে-মুখে ফিরছে। আজ, মঙ্গলবারও সকাল থেকে সকলে আকাশের দিকে তাকিয়েই বসে।
আরও পড়ুন: Malbazar: পর্যটনের ভরা মরসুমে গরুমারায় বন্ধ জঙ্গল সাফারি!
এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে, তা হল, অন্ধ্রের নেল্লোর ও মছলিপট্টনমের মধ্যে রয়েছে মিগজাউম ঘূর্ণিঝড়টি। আজ, মঙ্গলবার এই দুই শহরের মধ্যে বাপাতলা এলাকার উপর দিয়ে এগোবে মিগজাউম। তার গতি থাকবে ঘণ্টায় নব্বই থেকে একশো কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। ফলে রাজ্যের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই। তবে আজ, কাল ও পরশু দক্ষিণবঙ্গের দু’একটি জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আজ দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামীকাল থেকে দুর্বল হতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি। তখন আবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন, বুধবার ৭ ডিসেম্বরেও বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ উপকূলবর্তী সাত জেলায়। আগামী কয়েক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।
চেন্নাই তো ভাসছে! পশ্চিমবঙ্গও কি মিগজাউমের বৃষ্টিতে ডুববে? এই প্রশ্নটিই এখন মুখে-মুখে ফিরছে সকলের। যা জানা গিয়েছে তা হল, তীব্র ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের অবস্থান এই মুহূর্তে ৯০ কিলোমিটার পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব চেন্নাই এবং ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব বাপাতলা, ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব নেলোর। নেলোর এবং মছলিপটনাম-- এই দুটি জায়গার মাঝে বাপাতলা বলে জায়গাটি পড়ে। ঝড়টি এই বাপাতলা অতিক্রম করবে আগামীকাল ৫ ডিসেম্বরে। বাপাতলা অতিক্রম করার সময় ঝড়টির গতি থাকবে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
গতকালই আবহবিদেরা জানিয়েছিলেন, সিস্টেমটি ঢুকছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না। ফলে সেই অর্থে কোনও সতর্কবার্তা এ রাজ্যে নেই। সিস্টেম যত এগোবে তত পশ্চিমবঙ্গে মেঘ ঢোকা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই যা শুরু হয়ে গিয়েছে। ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বরে দক্ষিণবঙ্গের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ ৫ ডিসেম্বরে মূলত দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান-সহ বাকি জেলাতেও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: তিরন্দাজিতে রাজ্য ও জাতীয়স্তরে জোড়া সাফল্য জলপাইগুড়ির দুই ছাত্রের!
৬ ডিসেম্বরে সিস্টেম দুর্বল হয়ে এগোতে থাকবে। তখনও দুই মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ৭ ডিসেম্বরেও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়, পশ্চিমের জেলাগুলিতে এবং উপকূল অঞ্চলে একই রকম হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এই বৃষ্টিতে কৃষিকাজ বিঘ্নিত হবে। আলু ও ধানচাষের ক্ষেত্রে বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।